দাহ্য পদার্থ থেকেই অগ্নিকাণ্ড বেনাপোল বন্দরের পণ্যাগারে
শহিদুল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি।। বেনাপোল বন্দরের ২৩ নাম্বার পণ্য গুদামে থাকা দাহ্য পদার্থ থেকেই গত বছরের ২ অক্টোবরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিলো জানিয়ে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২১সেপ্টেম্বর)রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এম সাফায়েত হোসেনের নেতৃত্বে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনুসন্ধান শেষে এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধাজনক হওয়ায় এ পথে ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই বন্দরে চলমান নানা সমস্যায় দিন দিন ব্যবসায়ীরা আগ্রহ হারাচ্ছেন। বন্দরে মাত্র ৩২ টি পণ্যাগার,একটি রফতানি টার্মিনাল ও একটি ভারতীয় ট্রাক টার্মিনাল রয়েছে। বন্দরের ধারণ ক্ষমতা ৪২ হাজার মে.টন কিন্তু সব সময় আমদানি পণ্য থাকে দ্বিগুণ। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে বেনাপোল বন্দর প্রায় ২৫ হাজার মানুষের জীবিকার সাথে জড়িত । সরকার বছরে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করছে বেনাপোল বন্দর থেকে।
গত বছরের ০২ অক্টোবরে বেনাপোল বন্দরের ২৩ নম্বর পণ্যাগারে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৩৭ জন আমদানি কারকের পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় হাজার কোটি টাকা লোকসান হয় ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ,অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বন্দর থেকে পণ্য চুরি ও অব্যবস্থাপনার কথা কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোন নজরদারি নেই। গত এক যুগ ধরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানানো হলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। বন্দরের কর্মচারীরা অনিয়ম করে এখনও সাধারণ পণ্যাগারে কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থ নামাচ্ছেন।
বন্দরের ২২ নাম্বার পণ্যাগারের সুপারিন্টেন্ডেন্ট হাসানুর রহমান বলেন, বন্দরের পোস্টিং অফিস থেকে যদি সাধারণ পণ্যের পণ্যাগারে কেমিক্যাল নামানোর অনুমতি দেয়া হয় তাহলে তাদের করার কিছু করার থাকে না। এছাড়া কিছু সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আছেন যারা জোর করে এক একটি পণ্যাগার দখল করে রেখেছেন। এতে জায়গা সংকট হয়। তাদের কথা না শুনলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
বন্দর সুত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে বন্দরের ১০ নাম্বারসহ ১০টি পণ্যাগারে আগুনে পুড়ে ক্ষতি হয় ৩০০ কোটি টাকার পণ