যৌতুক না পেয়ে গৃহবধুকে হত্যার চেষ্টা ,মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ।
নীলফামারী সংবাতদাতাঃ
সৈয়দপুরের পার্শবতী মধুরামপুর কামারপাড়া এলাকায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে গৃহবধুকে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করেছে স্বামীর পরিবারের লোকজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গৃহবধুকে হাতপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগে যানা যায়, মধুরামপুর বাট্টুপাড়া গ্রামের দেলোয়ারের মেয়ে দোলনা (২২) এর সাথে বিয়ে হয় পার্শের কামারপাড়া গ্রামের আমিনুলের ছেলে রায়হানের সাথে। বিয়ের পর তাদের সংসারে আসে একটি সন্তান। তার বয়স ১৪ মাস। ৬/৭ বছর আগে দোলনার বাবা দেলোয়ার হঠাৎ বাড়ী থেকে বেড়িয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তার খোজ মেলেনি। অপরদিকে দোলনার মা ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টস চাকরী নেয়। আর এ সুযোগে দোলনার শ্বশুর বাড়ীতে শুরু হয় তার উপর নির্যাতন। সামান্য কথা নিয়ে তাকে মার ডাং এবং বাড়ী থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। বিয়ের সময় আসবাব পত্রসহ নগদ লক্ষাধিক টাকা যৌতুক হিসাবে দেয় রায়হানকে। পুণরায় যৌতুকের জন্য তার উপর চলে অমানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন। এর সূত্র ধরে গত ২০ সেপ্টেম্বর বিকালে যৌতুকের টাকা দাবী করে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন। এসময় দোলনা যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় স্বামী রায়হান দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় তার হুকুমে শ্বশুর আমিনুল, শ্বাশুরী কাছুয়ানী ও ননদ রেহানা দোলনাকে ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে চুলের মুঠি ধরে এলোপাতাড়ি মারডাং শুরু করে। এসময় তার গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। দোলনার গোঙ্গানীতে পাশের বাড়ীর লোকজন টের পেয়ে এগিয়ে আসলে তারা ঘর থেকে বেড়িয়ে আসে। এক পর্যায়ে দোলনা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এসময় তার স্বামী বলে যে, ওকে মেরে ফেললে কিছু হবে না। পরে গ্রামের লোকজন তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে দোলনা। হাসপাতালের বেডে কথা হয় দোলনার সাথে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। আশে পাশের লোকজন এগিয়ে না আসলে হয়তো আমাকে মেরে ফেলতো। এছাড়া বিয়ের পর থেকে আমার উপর নির্যাতন করে আসছিল। আমি নির্যাতনকারীদের বিচার চাই।
ওই এলাকায় গেলে দোলনার পক্ষে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে মামলা করবে বলে ওই এলাকার শতাধিক লোক এ প্রতিবেদককে জানায়। এ ব্যাপারে কথা হয় অভিযুক্ত আমিনুল, তার স্ত্রী ও মেয়ের সাথে তারা মারডাংয়ের কথা স্বীকার করে। তবে স্বামী রায়হানের দেখা মেলেনি।