সুনামগঞ্জে নাটকীয়তা পর ৫টন চুনাপাথর ও ৬ বস্তা কয়লা জব্দ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার চাঁনপুর ও বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমাছড়া,টেকেরঘাট,নয়াছড়া,রাজাই,কড়ইগড়া ও বারেকটিলা চোরাচালানীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। চোরাচালানীরা চ্যালেঞ্জ করে ভারত থেকে ওপেন পাচাঁর করছে কয়লা,চুনাপাথর,মদ,গাঁজা,হেরুইন,ইয়াবা ও গরু। আজ ২৭.০৯.১৭ইং বুধবার সকাল ১০টা অভিযান চালিয়ে নাটকীয় ভাবে ৮৫ মেঃটন চুনাপাথরের মধ্যে ৫টন চুনাপাথর ও ২৬বস্তা কয়লার মধ্যে ৬ বস্তা কয়লা আটক করেছে বিজিবি। আটককৃত কয়লা ও চুনাপাথরের মূল্য অর্ধলক্ষাধিক টাকা।
এলাকাবাসী জানায়,উপজেলার উত্তরশ্রীপুর ইউনিয়নের দুধেরআউটা গ্রামের চাঁদাবাজি মামলা নং-জিআর ১৬৩/০৭ইং এর জেলখাটা আসামী চিহ্নিত চোরাচালানী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জিয়া,তার সহযোগী লাকমা গ্রামের আব্দুল হাকিম ভান্ডারী,হাসান আলী,তিতু মিয়া,চাঁন মিয়া গং ভারত থেকে গত কয়েকদিনে ৮৫টন চুনাপাথর পাচাঁর করে লাকমা গ্রামের ঈদগা মাঠের রাস্তার পাশে,লাকমা চকবাজারের ব্রিজের পাশে ও লাকমা গ্রামের হামিদের বাড়িতে মজুদ করে রাখে। আজ ২৭.০৯.১৭ইং বুধবার সকাল ১০টায় টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা এফএস শহিদ লাকমা গ্রামে গিয়ে উপরের উল্লেখিত চোরাচালানীদের সাথে আলোচনা করে ৮৫ মেঃটনের মধ্যে ৫টন চুনাপাথর আটক করে এবং বাকি চুনাপাথর ছেড়ে দেন। অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টায় চোরাচালানী রতন মহলদার,বদিউজামাল গং কে নিয়ে এফএস শহিদ টেকেরঘাট বিসিআইসি খনি প্রকল্পের শহিদ মিনার এলাকা দিয়ে ভারত ১ মেঃটন (২৬বস্তা) কয়লা পাচাঁর করে। তার মধ্যে ৬ বস্তা কয়লা জব্দ করেন। প্রতিদিন এভাবেই নাটকীয় ভাবে হচ্ছে চোরাচালান। পাচাঁরকৃত প্রতিট্রলি (১টন) চুনাপাথর থেকে জিয়াউর রহমান জিয়া,আব্দুল হাকিম ভান্ডারী ও তিতু মিয়া নিজেদেরকে বিজিবি ও পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডারের নামে ৫০টাকা,এফএস শহিদের নামে ৫০টাকা,বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের ম্যাচ (খাওয়া-দাওয়ার খরছ) পরিচালনার নাম ভাঙ্গিয়ে ১০০টাকা,থানা-পুলিশের নামে ৭০টাকা,স্থানীয় দুই আওয়ামীলীগ নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে ১০০টাকা,স্থানীয় ইউপি মেম্মারের নামে ৫০টাকা,জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত সংবাদকর্মীদের নাম ভাঙ্গিয়ে মোট ১০০টাকা,সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের টু আইসির নামে ১০০টাকাসহ রাস্তা মেরামতের নামে ১০০টাকাসহ ১ বস্তা কয়লা থেকে টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডারের নামে ২০টাকা,এফএস শহিদের নামে ২০টাকা,থানার নামে ৫০টাকা,বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের নামে ৫০টাকা চাঁদা উত্তোলন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত নয়াছড়া এলাকা দিয়ে ভারত থেকে ৫০০মেঃটন চুনাপাথর পাচাঁর করে পার্শ্ববর্তী লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত যাদুকাটা নদীর বারেকটিলা খেয়াঘাটের দক্ষিনে নিয়ে মজুদ করে রাখে চোরাচালানী আবু বক্কর,আবুল কাসেম,লাল মিয়া,আবুল কালাম গং। কিন্তু এব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বিজিবি। এছাড়াও গত ২৫.০৯.১৭ইং বারেকটিলা দিয়ে চাঁনপুর গ্রামের মাদক মামলার জেলখাটা আসামী আবু বক্কর,বড়গোফ গ্রামের রফিক মিয়া,শিমুলতলা গ্রামের সাহিবুর মিয়া,মানিগাঁও গ্রামের সুজন মিয়া,বড়টেক গ্রামের সিদ্দু মিয়া বারেকটিলা এলাকা দিয়ে ভারত থেকে ৩০টি গরু পাচাঁর করে নিয়ে যাওয়ার সময় গুচ্ছগ্রাম নামস্থান থেকে ৯টি গরু আটক করে বিজিবি। আর বাকি গরুগুলো ছেড়ে দেওয়ার পর বাদাঘাট বাজারের নিয়ে বিক্রি করে ফেলে চোরাচালানীরা।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক নাসির উদ্দিন বলেন,সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে এবং থাকবে।