নীলফামারীতে অসুস্থ্য গরুর মাংস বিক্রির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন।
ফের অভিযোগের তীর কাউন্সিলর কসাই ছামিউলেয়র বিরুদ্ধে- বাজার পরিদর্শকদের দ্বায়িত ¡নিয়ে প্রশ্ন!
শাহ মো: জিয়াউর রহমান,নীলফামারী
নীলফামারীর ডোমারে অসুস্থ্য গরুর মাংস বিক্রির প্রতিবাদে মানব বন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় ফের কাউন্সিলর কসাই ছামিউলের নাম প্রকাশ পাওয়ায় বাজার পরিদর্শকদের দ্বায়িত ¡নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
জানাগেছে,উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের বেতগাড়া বাবুপাড়া গ্রামের মৃত একরএকরামুল আলীর ছেলে গোলাম নুর এর একটি গরুকে গত একমাস পূর্বে পাগলা কুকুর কামর দেয়। গরুর মালিক গোলামনুর উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রাসেদুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জলাতংক রোগের বিষয় নিশ্চিত হয়ে গরুটির কোন চিকিৎসা নাই মর্মে সাফ জানিয়ে দেয়, এবং মৃত্যুর পরে পশুটিকে মাটিতে পুঁতে রাখার পরামর্শ দেন। গোলাম নুর প্রানি সম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ উপেক্ষা করে গত ২৯শে সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় মাংস বিক্রেতা মৃত হোদলা মামুদের ছেলে গুলবাহারের নিকট ৪০হাজার টাকা দামের গরু মাত্র ৪হাজারটাকায় বিক্রি করে। গুলবাহার পশুটি গোপনে জবাই করে সম্পূর্ণ মাংস ডোমার পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কসাই ছামিউলের নিকট বিক্রি করে বলে মানব বন্ধনের আয়োজক কমিটির সভাপতি জামিলার রহমান জামিল সিএনএন টিভিকে জানান। অপরদিকে জবাইকৃত পশুটির রক্ত ও উচ্ছিষ্ট খেয়ে পরের দিন এলাকার বেশ কয়েকটি কুকুর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এর মধ্যে ৩টি কুকুর মারা গেলে এলাকায় আতংক ও ক্ষোভ বাড়তে থাকে। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে মঙ্গলবার বিকালে এলাকাবাসী ধঞ্চনপুর বাজারে বিক্ষোভ ও মানব বন্ধনের আয়োজন করেন। এসময় আজিবর রহমান,মোহম্মদ আরিফ,আইয়ুব আলী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। বক্তাগণ অসুস্থ্য গরুর মাংস বিক্রয়ের হোতাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। এছাড়া মাংস বিক্রেতাদের নীতিমালার আওতায় আনা সহ বাজার তদারকি ব্যবস্থা জোরদারেও দাবী করেন। উল্লেখ্য যে , কাউন্সিলর কসাই সামিউলের বিরুদ্ধে গত ৩রা জুন/১৭ গভীর রাতে জবাইকৃত অসুস্থ্য মহিষের মাংস বিক্রির প্রস্তুতিকালে জব্দ করে ডোমার থানা পুলিশ। পরে পৌর প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলরদের অনুরোধে পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা না নিয়ে জব্দকৃত মাংস মাটিতে পুঁতেই দায় সারেন।