প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গাংনীতে মেয়াদুত্তির্ণ লাইসেন্স দিয়ে চলছে সার বিষ কিটনাশকের ব্যাবসা
মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার আযান গ্রামে এক ব্যাবসায়ী প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মেয়াদুত্তির্ণ লাইসেন্স দিয়ে দেদারছে সার কিটনাশক ও বীজের ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া মেয়াদুত্তির্ণ লাইসেন্সটিও শুধু মাত্র বালাইনাশকের- সার ও বীজের লাইসেন্স দেখতে চাওয়া হলে তারা শুধু মাত্র বালাই নাশক ব্যাবসার মেয়াদুত্তির্ণ লাইসেন্স দেখিয়ে বলেন এই লাইসেন্স দিয়েই আমরা এ সকল ব্যাবসা করে থাকি। আযান গ্রামের খান এন্টার প্রাইজ বীজ ভান্ডার এর মালিক সরোয়ার হোসেন মুলোত একাই তিনটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। এছাড়াও বাকি দুটো এ উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামে খান এন্টারপ্রাইজ এর মালিক দেখানো হয়েছে খাইরুল ইসলাম গোলাপ পিতা সরোয়ার হোসেন এবং গাড়াডোবের পোড়াপাড়া বাজারে খান এন্টারপ্রাইজের মালিক দেখানো হয়েছে আশরাফ হোসেন পিতা সরোয়ার হোসেন। নিয়মানুযায়ি শুধু বালাই নাশকের লাইসেন্স দিয়ে সার ও বীজের ব্যাবসা করা বৈধ নয়। এ বিষয়ে খাইরুল ইসলাম গোলাপের সাথে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সব ব্যাবসারই লাইসেন্স আছে। কিন্তু তা দেখতে চাইলে তিনি শুধু মাত্র বালাইনাশক ব্যাবসার লাইসেন্স দেখিয়ে বলেন এটি দিয়েই আমরা ব্যাবসা করে আসছি কোন প্রশাসনের লোক আমাদের কাছে আসেনি। শুধু সাংবাদিকরাই ঝামেলা করতে আসে।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দিনের সাথে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি ব্যাবসার জন্য আলাদা করে লাইসেন্স করা লাগবে। এক্ষেত্রে যদি কেউ বালাইনাশকের সাথে বীজের ব্যাবসা করে তাহলে তাকে বীজের আলাদা লাইসেন্স করা লাগবে একই প্রোডাক্টের লাইসেন্স দিয়ে অন্য প্রোডাক্টের ব্যাবসা চালানো বে-আইনী।