যশোরে জামায়াতের হরতাল প্রভাবমুক্তহীন ভাবে পালিত। জনজীবন ছিল স্বাভাবিক।
মীর ফারুক শার্শা (যশোর) থেকেঃ জামায়াতের ডাকে সকাল সন্ধ্যা হরতালে যশোর ৮টি উপজেলায় নিরুউত্তাপ ভাবে শেষ হয়েছে। হরতালে যশোরে জীবনযাত্রার কোন পরিবর্তন হয়নি। অন্যান্য কর্মদিবসের মত যশোরে সড়ক মহাসড়কে স্বাভাবিক ছিল যান চলাচল। পরিবহন, যাত্রীবাহী বাস, টেম্পু, জেএসএ, রিক্স, ভ্যান, মটর সাইকেল চলাচল করেছে অবাধে। মানুষ নিজ নিজ কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে। দোকানপাট ছিল খোলা। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জামায়াতের ডাকে সকাল সন্ধ্যা হরতালে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল ও বিসিক শিল্পনগরী নোয়াপাড়ার কোনো প্রভাব পড়েনি। স্বাভাবিকভাবে চলেছে বন্দরের কাজকর্ম। ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বেনাপোল ও নোয়াপাড়া থেকে পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় পণ্য নিয়ে যেতে দেখা গেছে। অফিস আদালত, ব্যাংক বীমা চলেছে স্বাভাবিকভাবে। যশোর সদর, চৌগাছা, নাভারণ, ঝিকরগাছা, মনিরামপুর, নোয়াপাড়া বাজারে সকল দোকানপাট ছিল খোলা। মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্ম চলেছিল স্বাভাবিকভাবে। হরতালে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় আমির মাওলানা মকবুল আহম্মাদ, সেক্রেটারী জেনারেল, ড. শফিকুর রহমান সহ জামায়াতের শীর্ষ ৮ নেতাকে গ্রেফতার ও রিমান্ডের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল সন্ধা এই হরতালের ডাক দেয় দলটি।
যশোরে ৮টি উপজেলায় হরতালে জামায়াতের কোন নেতাকর্মীকে কোথাও হরতালের স্বপক্ষে মিছিল মিটিং ও পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে মিছিল মিটিং এর মাধ্যমে হরতালের বিপক্ষে রাজপথ দখলে রেখেছিল আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
জামায়াতের সকাল সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ছিল সতর্ক প্রহরা। যশোরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ছিল চোখে পড়ার মত।