বান্দরবানের বিশ্ব খাদ্য দিবস উদযাপন
[চাইথোয়াইমং মারমা রুদ্র জেলা প্রতিনিধি বান্দরবান]-“দরিদ্র দূরীকরন অভিবাসনের অংঙীকার ভবিষ্যৎ বদলে দাও খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীন উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াও’’ এই স্লোগান প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর আয়োজনে এবং স্থানীয় এনজিও হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল ও কারিতাস এর সহযোগিতায় সোমবার (১৬ইং অক্টোবর২০১৭) সকালে আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে বান্দরবানে বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৭ উদযাপন পালন করা হয়।
বান্দরবান কৃষিসম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আলতাফ হোসেন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, অারো এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এনজিও হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল স্যাপলিং প্রকল্পের নিউট্রিশিয়ান সেন্টিক প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ রেজাউল করিম, কারিতাস প্রোগ্রাম অফিসার রূপনা দাশ, সিনিয়র সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনু, তুলা গবেষক ও বান্দরবান পাহাড়ী তুলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক র্কমকর্তা মংসানু মারমা। আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ধান কর্মকর্তা চসিং মারমা। এছাড়াও আলোচনা সভায় বান্দরবানের জেলা ও উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসার ও বিভিন্ন অফিস স্টাফগণ উপস্থিত ছিলেন।
অতিথিরা বলেন, আজ বিশ্ব খাদ্য দিবস সারা বিশ্বের সাথে মিল রেখে আমরাও দিবসটি উৎসাহ উদ্ধীপনার মধ্যে দিয়ে পালন করছি। বান্দরবান একটি কৃষি বান্ধব জেলা, এই জেলার বিভিন্ন শাক-সবজি, ফলমূল উৎপন্ন হয়, এই জেলায় কমলা, কলা, আনারস, পেঁপে, আম, জাম, কাঠাল, ভূট্টাসহ নানান জাতের কৃষি জাত পন্য উৎপন্ন হয়।বর্তমানের
উৎপাদিত কৃষি পন্য ও ফলমূল জেলার খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে দেশে এবং দেশের বাইরেও রপ্তানী হচ্ছে, আগামীতে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি পন্য ও ফলমূল আরো বেশী করে উৎপাদন করা হলে তার থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। আসুন আমরা সকলকে মিলে মিশে বান্দরবান পার্বত্য জেলা কে সবার সহযোগিতায় একটি আধুনিক মানের কৃষি জাত পন্য ও বিভিন্ন জাতের ফলমূল উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলি।