ইতিহাসের সাক্ষী বিক্রমপুরের হরিশচন্দ্রেরের দিগি ।
মোঃলিটন মাহমুদ,মুন্সী গন্জ থেকে
ইতিহাসের সাক্ষী:বিক্রমপুরের হাজার বছরের পুরনো হরিশচন্দ্রের দীঘি
হরিশচন্দ্রের দীঘি মুন্সিগঞ্জ জেলার রামপালে অবস্থিত একটি প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন ও বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন দীঘি। স্থানীয়ভাবে দীঘিটি মাঘী পূর্ণিমা দীঘি নামেও পরিচিত। জনশ্রুতি অনুসারে, এ অঞ্চলে দীঘিটি খনন করেছিলেন রাজা হরিশচন্দ্র।
১০৯১ থেকে ১১০৩ পর্যন্ত পাল বংশীয় রাজা শূরপালের ভাই রামপাল বিক্রমপুর অঞ্চল শাসন করেন সেসময় তার নামানুসারে রামপাল গ্রামের নামকরণ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। পাল বংশের রাজাগণ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত ছিলেন তবে তাদের মধ্যে হরিশচন্দ্র রাজার রাজত্ব রংপুর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল ও তিনি সাভারের কাঁঠালবাড়ী থেকে তার রাজ্য পরিচালনা করতেন বলে মনে করা হয়।
দীঘিটি কে খনন করেছিলেন সে সম্পর্কে ইতিহাসবিদগণ সঠিক তথ্য উদঘাটন করতে পারেননি। তবে মনে করা হয় রাজা হরিশচন্দ্রের শাসনামলেই দীঘিটি খনন করা হয়েছিল।
কিংবদন্তী অনুসারে, এ দীঘিটিকে ঘিরে অনেক গল্প প্রচলিত। এ দিঘীটিতে নাকি আগে পূর্নিমার রাতে স্বর্ণের নৌকা ভেসে বেড়াত। কারও বাড়িতে বিয়ে থাকলে ভেসে উঠত ডেগ, থালা, বাসন ইত্যাদি। বর্তমানে প্রতি বছর এখানে মাঘী পূর্ণিমাতে মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় আগত অনেক লোকই বিশ্বাস করে, এ দীঘিটিতে কোন অলৌকিক শক্তি রয়েছে। এমন বিশ্বাস থেকে আগতরা বিভিন্ন উপঢৌকন দিয়ে দীঘিটির পূজা করে থাকে। জনশ্রুতি অনুসারে, ব্রিটিশ শাসনামলে এ দীঘির পানি সম্পূর্ণ সেচার জন্য বেশ কিছুদিন চেষ্টা করার পর তারা তাদের চেষ্টা বন্ধ করে করে দেয় পানি না কমার কারণে।