৩ দিন ব্যাপি কালী পূজার ৩য় দিন আজ
আবু জাহেদ ফয়সাল (চট্টগ্রাম) ( পন্ডিত এর সাথে কথা বলে জানা) যিনি কালকে নিয়ন্ত্রণ করেন কালকে লালন করেন আবার প্রয়োজনে কালকে ধ্বংস করেন তিনিই কালীঅপরদিকে কালী নারীর স্বশক্তিকরণের প্রকাশ❕ কালী একাধারে কল্যাণী অপরদিকে
বিনাশকারী❕
যখন অসুর শক্তিকে বিনাশ করতে দেবতাকূল ব্যর্থ তখন শিবের পত্নী সর্বদা পতি পরায়না শান্ত সুশীলা মা পার্বতীর ভয়ঙ্কর মহাকালী রূপে প্রকাশ ও এক এক করে ধুম্রলোচন , চন্ড মুন্ড, রক্তবীজ সমস্ত অসুরকুলকে বিনাশ করে মনুষ্যসমাজকে বোঝাতে চাইলেন ...."
নারী যদি শঙ্কা ত্যাগ করে তবে সে শঙ্কর হয়ে যেতে পারে "শ্রী শ্রী চন্ডীতে মা বলছেন , স্ত্রীয়া সমসতা সকলা জগৎসু .অর্থাৎ সকল নারীর মধ্যেই সেই অদম্য শক্তি বিরাজমান। নারী দুর্বল নয় অসহায় নয়।নারীই পারে কল্যাণ করতে আবার নারীই পারে দুষ্টের দমন করতে। নারী যদি তার অন্তর্নিহিত শক্তিকে অনুভব করতে পারে তবে নারীই পারে অপরাজেয় হতে❕হিন্দু ধর্মের সকল সংস্কৃতির মধ্যেই আছে সামাজিক শিক্ষা। তাই কালী পুজো শুধু ডিজে বাজিয়ে আনন্দ করা নয় , কালী পুজো শক্তির আরাধনা❕
একদিকে যেমন নারীর স্বশক্তিকরণের আহ্বান তেমনি সমাজের প্রতি ক্ষেত্রে শক্তির প্রতিষ্ঠা করে অসুরদের বিনাশ করার শপথ গ্রহণসমাজ রাষ্ট্রের সুরক্ষা ও আত্মচৈতন্যের বিকাশই হিন্দু সংস্কৃতির লক্ষ্য❕আজ সমাজ রাষ্ট্রের চারিপাশে অসুর। আর এই অসুরকে ধ্বংস আমাদেরই করতে হবে আর তার জন্যে চাই শক্তি সাহস ও আত্মবিশ্বাসের সাধনাতাই মা মহামায়ার কাছে " রূপং দেহী জয়ং দেহী " নয় , শৌর্য বীর্য পরাক্রম চেয়ে নিতে হবে❕ দুর্বল কাপুরুষ নৈরাশ্যবাদী হীনমন্য ভীরু ব্যক্তির জন্যে কালী পুজো ন!!! জয় মা জগৎজননী আদ্যাশক্তি মহামায়া !!!কালী বা কালিকা হলেন একজন হিন্দু দেবী। শিব সঙ্গীকে নিয়ে শ্মশানেই কালির আবাস স্থল। শৃগাল বাহনে খড়্গ অস্ত্রে কালির গতিবিধি। কালী শক্তির দেবী আবার সৃষ্টি, পরিবর্তন, ধ্বংস, স্থিতিশীলতায় তিনি ক্ষমতাবান। পুরাণ ও তন্ত্র সাহিত্যে কালীর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা রয়েছে। যেমন: শ্মশানকালী, মহাকালী, সিদ্ধকালী, ভদ্রকালী, রক্ষাকালী, গুহ্যকালী ও দক্ষিণাকালী ইত্যাদি। বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে হিন্দু ধর্মালম্বী “ব্রহ্মময়ী”, “ভবতারিণী”, “আনন্দময়ী”, “করুণাময়ী” ইত্যাদি নামেও কালীপ্রতিমা পূজা করে থাকে। এসব রূপের মধ্যে দক্ষিণাকালীর বিগ্রহই সর্বাধিক পরিচিত ও পূজিত। দক্ষিণাকালী চতুর্ভূজা হয়ে থাকে। তাঁর চার হাতে খড়্গ, অসুরের ছিন্ন মুণ্ড, বর ও অভয়মুদ্রা রয়েছে। তাঁর গলায় রয়েছে নরমুণ্ডের মালা। দেবীর গায়ের রং কালো। মাথায় আলুলায়িত চুল এবং তিনি শিবের বুকে ডান পা আগে রেখে দণ্ডায়মান।