কাপাসিয়ায় আমন ধানে অজানা রোগে আক্রমণ
আসাদুল্লাহ মাসুম, কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি: ধান পাকার মুহূর্তে কাপাসিয়া উপজেলার বিভিন্ন ধান খেতে অজানা রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ফসল ঘরে তোলার এই সময়ে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় মোট ১১ হাজার ২ শত ৭৪ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। কোনো কোনো জমিতে ধান পাকতেও শুরু করেছে। এ অবস্থায় ধানখেতে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠভর্তি শুধু ধান আর ধান। তবে সামান্য কিছু বাদে অধিকাংশ খেতের ধানের পাতা লাল হয়ে শুকিয়ে শীষ চিটা হয়ে গেছে।
টোক ইউনিয়নের পাঁচুয়া গ্রামের ধানচাষি শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন, এবার ২ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। ধান ফলানোর জন্য নগদ অর্থ ও শ্রম সবই শেষ করেছি। এখন ফসল ঘরে তুলব। ধানের পাতা লাল হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে হঠাৎ করেই ধানখেতে মাজরার আক্রমণ দেখা যাচ্ছে। কীটনাশক ছিটিয়েও লাভ হচ্ছে না।’ এতে করে আমর ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
উরুন গ্রামের কৃষক মনির হোসেন জানান, আমাদের ধানের পাতা লাল হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তাার কাছে গেলে ঔষধের নাম বলে দেয় কিন্তু কোন কাজে আসে না। তারা মাঠে এসে দেখে না।
দিগধা গ্রামের কৃষক খোকন মিয়া জানান, এবার আমাদের চাহিদা অনুযায়ী ফসল পাবনা রোগের কারণে। প্রতি ইউনিয়নে কৃষি উপসহকারী রয়েছে যারা মাঠে এসে কৃষকের কথা শুনে ঔষধ দেওয়ার কথা কিন্তু আমাদের এলাকায় আসে না।
কৃষক আতাউর রহমান বলেন, মাঠের ২০ থেকে ৩০ ভাগ জমিতে রোগের আক্রমণ হয়েছে। এতে প্রতি বিঘায় ৫ থেকে ১০ মণ কম ধান উৎপাদন হতে পারে।
তবে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা মনে করছেন, ধান পাকার এই মুহূর্তে মাজরা পোকা আর খুব একটা ক্ষতি করতে পারবে না। তাঁরা কৃষকদের বিভিন্ন কলাকৌশল শেখাচ্ছেন। বিশেষ করে যেসব জমির ধান এখনো পাকতে শুরু করেনি, সেগুলো রক্ষায় চাষিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
কাপাসিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশীষ কুমার কর বলেন, ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে এবছর এমন হয়েছে। তবে ধান পাকতে শুরু করায় এই আক্রমণ খুব একটা বিস্তৃত হওয়ার সময়ও পাবে না।