খিলামু কি, বেঁচলে টেকা পামু
কারিমুল হাসান লিখন, ধুনটঃ বগুড়ার ধুনটে গো খাদ্য হিসেবে খড়ের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় খাদ্য সংকটে পড়েছে উপজেলার গ্রাম গঞ্জের সাধারন মানুষ। গরুর খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য ধান খড়ের দাম ১৬০০ টাকা মন হওয়ায়, ঘাসের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। পাওয়া যাচ্ছেনা ধানের গুড়াও। বন্যা ও সম্প্রতি প্রাকৃতিক দূর্যোগে টানা ১৫দিন বৃষ্টির পর আমন ধানেরও ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার অনেক জমি থেকে আমন ধান তো দুরের কথা গরুর খাদ্য হিসেবে ধান খড়ও তেমন একটা ঘরে উঠবেনা বলে মনে করছেন অনেক চাষি। তবুও থেমে নেই ধান চাষের পরিচর্যা। প্রাকৃতিক দূর্যোগের পর ব্যাপক ভাবে গো খাদ্য সংকট হওয়ায় উপজেলার অনেকেই গৃহপালিত পশু কম মুল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। উপজেলার হাঁসখালী সোনামুয়া হাটে খলিলুর রহমান নামের এক গরু বিক্রেতা জানান, গরুক খিলামু কি, খ্যারের দাম বেশি, চাউলের দামও বেশি। গরুক কষ্ট না দিয়্যা হাটত বেঁচলে তাও আমাগেরে ঘরে চাউল কিনার টেকা পামু, ভাতও পামু। বানে ধান খায়্যা গ্যাচে, যেকনা আচিলো তাও বিষ্টিত নষ্ট হচে। হাটত গরুর কম দাম হলেও বেচাই লাগবি, খ্যারের ওবাবে অবলা পশুক কষ্ট দিব্যার পামুনা। গরু বিক্রেতা ভুট্টা প্রামানিক বলেন, যে গরু ১ মাস আগে ৩৫ হাজার টাকা দাম ছিলো, সেই গরু বর্তমান বাজারে ২০-২৫ হাজার টাকার মধ্যে। এক মাসের ব্যবধানে ১০-১২ হাজার টাকা লোকসান গুনছে অনেকেই। ভারাক্রান্ত মনে এমনটাই মন্তব্য করেন গরু বিক্রেতা খলিলুর রহমান। গরুর হাট ঘুরে খলিলের মত আরও লোকের দেখা মিলেছে যারা শুধু গো খাদ্য সংকটের কারনে গরু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। কমদামে গরু বিক্রি করে বেশি দামে চাউল ক্রয় করে সংসার চালানোর ব্যাবস্থাও করছে অনেকেই।