রোহিঙ্গাদের নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরে যেতে দেখতে চায়: ইইউ
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের নিজ আবাসভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে দেখতে চায় জানিয়েছেন মানবাধিকার সহায়তা ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কমিশনার ক্রিস্টোফার স্টাইলিয়ানিডস।
তিনি বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
আলীর সঙ্গে ক্রিস্টোফার বৈঠক শেষে বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অবশ্যই আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরে যাবে।
এর আগে তিনি কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনকালে বলেন, রোহিঙ্গা সংকটকে বিশ্বের ক্রমবর্ধমান সংকট হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের রাজনৈতেক সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদে তাদের নিজ আবাসভূমি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একমাত্র উপায় হচ্ছে দু’দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রাখা।
ক্রিস্টোফার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ঘটনাকে মানবাধিকার লংঘন হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ইইউ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রাখাইন রাজ্যে সার্বিক পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইইউ বাংলাদেশের জন্য সহায়তা আরো বাড়াবে।
গত ২৫ আগস্টের পর জীবন বাঁচাতে রোহিঙ্গারা নিজ আবাসভূমি ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ায় এই সংকটের সৃষ্টি।
তিনি বলেন, ইইউ এই সংকটকালে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে, এই বার্তাটি দিতে আমি বাংলাদেশ সফর করছি।
ইইউ কমিশনার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে সৃষ্ট বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ইইউ কমিশনারকে অবহিত করেন। বৈঠকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে দশ লাখের অধিক রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।
তিনি বলেন বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে ব্যাপক আর্থ-সামাজিক সমস্যা এবং বাংলাদেশের জন্য পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী কফি আনান কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে এই সংকটের একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছতে ইইউ’র রাজনৈতিক সমর্থন কামনা করেন।
ইইউ কমিশনার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে আজ কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসেন।