বাঙ্গালীর আমৃত্যু শোকগাঁথা ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট ও ৩ নবেম্বর একই সুতোয় গাঁথা।
মুন্সীগন্জ : বাংলাদেশের স্থপতি সহস্রাব্দের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধুর আমৃত্যু ঘনিষ্ঠ সহচর আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেছেন, বাঙ্গালীর আমৃত্যু শোকগাঁথা ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট ও ৩ নবেম্বর একই সুতোয় গাঁথা। এমনকি জাতর জনক শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ সকল প্রাণঘাতী আক্রমন উল্লেখিত ধারাবাহিকতার অংশ বলে তিনি আরো জানান। মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, বাঙ্গালী জাতীকে নেতৃত্ব শূণ্য করার গভীর ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। তিনি বলেন, কুচক্রী ষড়যন্ত্রকারীরা ঘাপটি মেরে আছে সুযোগ পেলে আবারো পিছন থেকে ছোবল দিবে। তিনি বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে জেল হত্যা দিবসকে স্মরণ করে একান্ত সাক্ষাৎকারে উপরোক্ত কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলৈন মুন্সীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহŸায়ক মতিউল ইসলাম হীরু, শহর আওয়ামীলীগ নেতা রায়হানুজ্জামান রাসেল, শামীম হোসেন প্রমুখ।
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩ নবেম্বর নারকীয় হত্যাযজ্ঞকে শুধু বাংলাদেশই নয় পৃথিবীর ইতিহাসে কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। তিনি বলেন, কারাগার বা জেলখানা হচ্ছে রাষ্ট্র স্বীকৃত সর্বাপেক্ষা নিরাপদ স্থান। কারাগারের এর অভ্যন্তরেই বাংলাদেশের ৪ সূর্যসন্তান যথাক্রমে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহম্মেদ, ক্যাপ্টেন মুনসুর আলী, কামরুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তিনি নিজেও তখন একই কারাগারে অন্তরীন ছিলেন উল্লেখ করে বলেন, উক্ত নেতৃবৃন্দ বেঁচে থাকলে দেশের উন্নয়নে বিশাল অবদান রাখতে পারতেন। স্মৃতি হাতরে তিনি উক্ত নেতৃবৃন্দের সান্নিধ্যে নান সময় অতিক্রান্তের স্মরণ করে এক পর্যায়ে নির্বাক বনে যান।
আগামীকাল ৩ নবেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বিকাল ৩টায় স্থানীয় পুরাতন কাচারী বালুর মাঠে এক শোক সভার আয়োজন করা হয়েছে।