ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে রংপুরে সংঘর্ষ, নিহত ১
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে স্থানীয় এক যুবক ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে— এ অভিযোগের জেরে রংপুরের পাগলাপীরে গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ আহত হন আরো ৪০ জন।
আমাদের সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ফেইসবুকে ধর্মকে অবমাননা করে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ এনে শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাযের পর রংপুরের পাগলাপীরে রাস্তায় নেমে আসেন স্থানীয়রা।
এ সময় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন তারা। একপর্যায়ে মহাসড়ক অবরোধ করতে গেলে স্থানীয়দের বাধা দেয় পুলিশ। এতে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোঁড়ে পুলিশ। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে পুলিশ ও গ্রামবাসীর মধ্যে। দুপুর দুইটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গড়ায় সংঘর্ষ। তারাগঞ্জ থেকে পাগলাপীর পর্যন্ত মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ সময় পাগলাপীরের সলিয়াশা বাজারের পাশে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাংচুর চালায় ও আগুন দেয় স্থানীয়রা।
এলাকাবাসিরা অভিযোগ করেন, স্থানীয় এক যুবক ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে। এর জেরে সেই যুবক, তার আত্মীয়স্বজন এবং আশপাশের বাড়িঘরে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধরা।
এদিকে, পুলিশ ও স্থানীয়দের সংঘর্ষে মারা যান একজন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। এছাড়াও আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০ জন। তাদের মধ্যে ১০ জন পুলিশ সদস্য।