শেখ হাসিনার আধীনে নির্বাচান নয়: খালেদা জিয়া
শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না এজন্য নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এ সময় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম নয় সেনাবাহিনী মোতায়েন দাবি জানান বিএনপি চেয়ারপারসন।
রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে দেয়া বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় খালেদা জিয়া বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সমাবেশে আসতে সরকার বাধা দিচ্ছে— বিএনপির সমাবেশে লোক আসতে বাধা দিয়ে সরকার ছোট মনের পরিচয় দিয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসমাবেশে দলীয় চেয়ারপারসন বলেন, ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করেছে।
বিএনপি চেয়ারপাসন বলেন, 'সারের দাম বেড়েছে—সরকার কৃষককে মারার ব্যবস্থা করেছে সাধারণ মানুষকে মারার ব্যবস্থা করেছে। শ্রমিকদের ওপরও নানা রকম অত্যাচার চলছে তাদের মজুরি বৃদ্ধি পায় না।
এক ঘণ্টা ২ মিনিটের বক্তৃতা দেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, আজকে ঘরে ঘরে মানুষের কান্না আর আহাজারি— মানুষ আজ অত্যাচারিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত। তাই এদের হাত থেকে মানুষ মুক্তি চায়— মানুষ পরিবর্তন চায়। এই পরিবর্তন আমরা বলি আসতে হবে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে, ভোটের মধ্য দিয়ে আসতে হবে। এই জন্য মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন এ সরকারের অধীনে ভোট দিতে পারবেন তখন সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা না বলে জাবাব দেন না ।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য প্রয়োজন একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন।’
এর আগে আমার ভোটের অধিকার লুট হবে কতকাল বলে মন্তব্য করেন সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা।
এর আগে আকস্মিকভাবে রাজধানীর আশপাশের জেলাগুলো থেকে বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীসহ সমাবেশে আসা অনেকেই।
বিএনপি অভিযোগ করেছে, তাদের সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে পুলিশসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বাস চলতে দিয়েছে।
পুলিশ এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে পরিবহন শ্রমিকদের দায়ী করেছে আর পরিবহন শ্রমিকরা দুষছেন মালিকদের।
রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুপুর ২টায় বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়।
এ সমাবেশে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বক্তব্য দেন।
এই জনসভায় ঢাকা নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের পাশাপাশি সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের এলাকাগুলো থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের যোগ দেন।
ঢাকা নগরীর ভেতরে সকালে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাস চলাচল কমে যায়।
পরিবহন শ্রমিকরা জানান, বিএনপির লোকজন বাস নিয়ে গেছে আবার কেউ বলেন বাস দেয়া এড়াতে অনেকে গাড়ি রাস্তায় নামায়নি।
নারায়ণগঞ্জের ভুলতা থেকে গুলিস্তানের আশিয়ান, গ্লোরি এবং কলাবাগান রুটের মেঘলা পরিবহনের বাস সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে।
পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া ঢাকাগামী সব ধরনের বাস গাজীপুরের চান্দনা-চৌরাস্তা থেকে ঘুরিয়ে দেয়া হয়।
গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা থেকে অনত্র চলতে দেয়া হলেও ঢাকার দিকে কোনো গাড়ি চলতে দেয়া হচ্ছে না।
ঢাকা-গাজীপুরে রুটে চলাচলকারী ভিআইপি পরিবহনের পরিচালক মো. কামরুল হাসান রিপন বলেন, মালিক সমিতির ‘নেতাদের নির্দেশে’ বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এই বিষয়ে মালিক সমিতির কোনো নেতার বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।