সীতাকুণ্ডে শীতকালীন শাকসবজির বাম্পার ফলন
মোহরম আলী সুজন,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি( চট্টগ্রাম): সীতাকুণ্ড উপজেলায় শীতকালীন শাকসবজি আগাম বাজারে তুলতে পেরে খুুুশি স্থানীয় কৃৃৃষকরা। উপজেলায় ব্যাপকভাবে মুলা, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, ঢ্যাড়স, লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক চাষ হয়।
উপজেলার কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা শীতের সবজির চারা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ সবজির চারা ক্ষেতে লাগাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ক্ষেত আগাছা মুক্ত করতে নিড়ানি দিচ্ছেন। সীতাকুণ্ডের কৃষকদের মাঝে নানান দুশ্চিন্তা আর হতাশার মাঝেও বর্তমানে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলনে অবশেষে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। চলতি মৌসুমে পর পর কয়েকবার জলাবদ্ধতায় কৃষকদের সবজি চাষে ধস নামে।
জলাবদ্ধতার কারনে কয়েকবার নষ্ট হয়ে যায় কৃষকদের একমাত্র আয়ের উৎস বিভিন্ন সবজির চাষ। তাই এবারের বাম্পার ফলনে কৃষকদের মেজাজও কিছুটাও ফুরফুরে। তবে একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবারের বাম্পার ফলনেও খুশি হতে পারছেন না তারা। কারন গত কয়েকবার জলাদ্ধতায় লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হয় কৃষকরা।
উপজেলার শিবপুর, সৈয়দপুর ইউপি, মুরাদপুর,কুমিরা ও সোনাইছড়ির বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে সবজির বাম্পার ফলনের দৃশ্য।সোনাইছড়ির এক কৃষক জানান, আমি ৪০ শতকে লাউ এর চাষ করেছি। বর্তমানে যে অবস্থাতাতে মনে হচ্ছে অনেকটা লাভবান হব। তবে বাজার দর যদি ঠিকটাক মত থাকে তাহলে অবশ্যই এবার লাভবান হতে পারি বলে আশা করছি।অন্যদিকে ফুলতলা এলাকার শিম চাষ করা আরেক কৃষক জামাল জানান, আমার ১০ শতকের মত শিম চাষ আছে, ইনশাআল্লাহ এবারের অবস্থা খুবই ভাল।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান,সোনাইছড়ি এলাকার সব কৃষকের মোটামোটি শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। তারা চাষাবাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহন করেছিল এবং সেমতে পরিচর্যা করেছে।আমি ও মাঠ পর্যায়ে গিয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছি।