LatestsNews
# টঙ্গীতে বঙ্গবন্ধুর ৪৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত।# বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানো বেমানান -- ওয়ার্কাস পার্টি# বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানো বেমানান-- ওয়ার্কার্স পার্টি# পূবাইল সাংবাদিক ক্লাবের সাথে নবনিযুক্ত ওসি'র শুভেচ্ছা বিনিময় # টঙ্গীতে গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার# টঙ্গীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল। # টঙ্গীতে হেরোইনসহ ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার# টঙ্গীতে চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম # গাজীপুরে ফেনসিডিল ও ইনজেকশনসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার# গাজীপুরে ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার।# গাজীপুরে সাংবাদিককে হত্যার ষড়যন্ত্র; ছাত্রদল নেতার অডিও ক্লিপ ভাইরাল। # টঙ্গীতে আই এম সি এইচ ডায়াগনোস্টিকস্ এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের শুভ উদ্বোধন। # টঙ্গীতে বিদেশি মদসহ ৭ জন গ্রেপ্তার # টঙ্গীতে যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল# টঙ্গীতে বাসের ধাক্কায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু# বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন ভোলা জেলা শাখার নব নির্বাচিত সভাপতি নাহিদা পারভীন# টঙ্গীতে আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত# গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতার সংবাদ সম্মেলন # পূবাইলে সাংবাদিক ক্লাবের উদ্দ্যোগে নাদিম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন# টঙ্গীতে ১১ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ২
আজ বৃহস্পতিবার| ২১ নভেম্বর ২০২৪
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ
# মানুষের কথা মানুষের জন্য-এই শ্লোগানে বাংলাদেশে আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই (তথ্য,প্রযুক্তি ও বিনোদন ভিওিক ) পূর্ণাঙ্গ IP TV ( CHANNEL 4) - google play store হতে Apps ডাউনলোড করে মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় জাতি গঠনে আমাদের আগ্রজাতরায় সামিল হতে পারেন আপনিও ।# আপনার এলাকায় ঘটে যাওয়া যে কোন সংবাদ নিয়ম কিংবা অনিয়মের তথ্য জানিয়ে আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন । আমারা আমাদের প্রচার যোগ্য মাধ্যমে আপনার পাঠানো সংবাদের সত্যতা যাচাই করে যথাযথ নিয়মে সংবাদ প্রচার করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে থাকি আমাদের প্রচারিত সংবাদ দেখতে লগইন করতে পারেন www.channel4bd.com এ (4 Media Limited, অফিস : হিরন টাওয়ার,২০/১-বি, সাতাইশ,শরিফ মার্কেট, টঙ্গী,গাজীপুর ১৭১২। রিপোর্টিং : 01911073607, বিজ্ঞাপন :01715467283। ই-মেইল 4tv.4news@gmail.com)# মানুষের কথা মানুষের-জন্য এই শ্লোগানে বাংলাদেশে আমরাই প্রতিষ্ঠা করতে চাই সংবাদ ভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ IP TV CHANNEL 4 - google play store App ডাউনলোড করে মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় জাতি গঠনে আমাদের আগ্রজাতরায় সামিল হতে পারেন আপনিও ।

পোপ ব্যাখ্যা দিলেন ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি কেন উচ্চারণ করেননি



মিয়ানমারে সফর সময়ে একবারের জন্যেও হলেও পোপ ফ্রান্সিস তার ভাষণে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারণ করেননি তা ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন।

তবে ওই ভাষণে তিনি ‘প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর প্রতি শ্রদ্ধা’ রাখার দাবি জানিয়েছেন।

পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি আগেই উচ্চারণ করলে মিয়ানমারের নেতাদের সঙ্গে সংলাপের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল আর ঝুঁকিটি তিনি নিতে চাননি বলেই শব্দটি উচ্চারণ করেননি।

সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল শনিবার বাংলাদেশ সফর শেষে ফিরে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পোপ ফ্রান্সিস তার ওই সিদ্ধান্তের এ ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

পোপ বলেন, ‘আমি যদি শব্দটি উচ্চারণ করতাম, তাহলে মিয়ানমারের নেতারা মুখের ওপর সব আলোচনার পথ বন্ধ করে দিতেন। বিষয়টি সম্পর্কে আমি ভাবছি তা কিন্তু সবার জানা। ব্যক্তিগত ওই বৈঠকগুলো আমি ভেস্তে যেতে দিতে চাইনি। বৈঠকগুলো হওয়ায় আমি বেশ সন্তুষ্ট। আর ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারণ না করেও ওই বৈঠকেই মূল বার্তাটি আমি পৌঁছে দিতে পেরেছি।’

পোপ ফ্রান্সিস বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনার জন্যই তিনি মিয়ানমার সফর করেছেন। যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও সংগত কারণেই শরণার্থীশিবির সফর করা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আয়োজকেরা যখন তার সঙ্গে রোহিঙ্গা সদস্যদের সাক্ষাৎ করানোর জন্য নিয়ে এসেছিলেন তখন তাদের যথাযথ সম্মান দিয়ে নিয়ে আসা হয়নি। বিষয়টি তাকে কষ্ট দিয়েছে। তিনি সাক্ষাৎ করতে আসা সব রোহিঙ্গা সদস্যদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। নিজেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে মন্তব্য করেছেন।

পোপ বলেন, ‘তাদের (রোহিঙ্গা) কথা শুনে আমি কেঁদেছি। তবে আমি তা গোপন রাখার চেষ্টা করেছি। কারণ রোহিঙ্গারা তাদের দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন।’

পোপ সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে আলোচনা ‘ভালো’ হয়েছে। ওই বৈঠকে সত্য প্রকাশে তিনি কোনো সমঝোতায় যাননি। তার দেয়া বার্তা সাদরে গ্রহণ করেছেন মিন অং।

গত ২৮ নভেম্বর মিয়ানমার সফরে যান পোপ ফ্রান্সিস। সেখানে সরাসরি রোহিঙ্গাদের কথা উল্লেখ না করলেও ভাষণে জাতিগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার প্রতি পোপ তার শক্ত অবস্থান তুলে ধরেন।

ওই সফরে পোপ বলেন, মিয়ানমারকে অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে। সমাজের প্রতিটি সদস্যের মর্যাদা ও অধিকারের ভিত্তিতে এই শান্তি আনতে হবে।

ভাষণ দেয়ার আগে পোপ ফ্রান্সিস মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সু চিও তার ভাষণে সরাসরি রোহিঙ্গা মুসলিমদের কথা উল্লেখ করেননি। তবে তিনি স্বীকার করেন যে রাখাইনের পরিস্থিতি ‘বিশ্বের ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ’ করেছে।

বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশ মিয়ানমারের রোমান ক্যাথলিক চার্চ সফরের আগেই পোপকে অনুরোধ জানিয়েছিল, তিনি যেন তার ভাষণে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করেন। তাদের আশঙ্কা ছিল, পোপের মুখ থেকে ওই শব্দটি এলে মিয়ানমারের খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর নতুন করে সহিংসতা শুরু হতে পারে।

গত ২৮ নভেম্বর ইয়াংগনে পৌঁছানোর পরপরই মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় পোপ ফ্রান্সিসের। ওই বৈঠক বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা থাকলেও সেনাবাহিনী শেষ মুহূর্তে বৈঠকের সময় এগিয়ে আনে। ফলে পোপ বেসামরিক নেতাদের সঙ্গে বসার আগেই তাকে সেনাবাহিনীর মনোভাব জানিয়ে দেয়ার সুযোগ হয় তাকে।

ওই বৈঠকের বিষয়ে পোপ সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার ‘ভালো’ আলোচনা হয়েছে এবং সত্য প্রকাশে সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই।

সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন কি না- এ প্রশ্নে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, যে বার্তা আমি দিতে চেয়েছি সেজন্য প্রয়োজনীয় সবই আমি ব্যবহার করেছি। যখন বুঝলাম, আমার বার্তা তাদের কাছে পৌঁছেছে, তখন আমার যা যা বলার ছিল সবকিছুই বলার সাহস পেলাম।

এরপর ইংগিতপূর্ণ হাসি দিয়ে পোপ বলেন, যার অর্থ- বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট।

রোহিঙ্গা নিপীড়ন বন্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে ব্যর্থ হওয়ায় মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সমালোচনা করে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তবে পোপ বিষয়টি সেভাবে দেখছেন না।

গত ২৮ নভেম্বর সু চির সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে মিয়ানমার রাজনৈতিকভাবে বিকাশের পর্যায়ে রয়েছে। সুতরাং সেই চোখ দিয়েই বিষয়গুলো দেখতে হবে। রাষ্ট্রগঠনের কাজ এগিয়ে নেয়ার জন্য মিয়ানমারকে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এগোতে হবে।

গত ২৫ আগস্ট থেকে সেনা বাহিনীর নির্যাতনের পর থেকে বাংলাদেশে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।


1