উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাবচন কতটা সুষ্ঠু হবে?
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাবচনে প্রার্থী দেয়া বা নির্বাচনী প্রচরাণা বড় কথা নয় বরং এ নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে— এটাই বড় চ্যালেঞ্জ, এমনটাই মনে করছেন বিএনপি'র শীর্ষ নেতারা।
বৃহস্পতিবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে সরকার ও নির্বাচন কমিশন কতটা স্বচ্ছতার প্রমাণ দিতে পারবে।
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি সব সময় প্রস্তুত।
গত বছরের ন্যায় উত্তর সিটি নির্বাচনে সরকার জবর-দখল করলে তা জনগণ কখনোই মেনে নেবে না বলেও হুশিঁয়ারি দেন বিএনপি'র এই নেতা।
নেতারা বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক ধারা রক্ষায় অতীতের মত এবারও উত্তর সিটির নির্বাচনে অংশ নেবে।
এই নির্বাচনে সরকার ও নির্বাচন কমিশন কতটা নিরপেক্ষতার প্রমাণ রাখতে পারে এটাই এখন দেখার বিষয় উল্লেখ করে পূর্বের ন্যায় উত্তর সিটি নির্বাচনে কারচুপি করা হলে তার পরিণাম ভাল হবে না বলেও হুশিঁয়ারি দিয়েছেন নেতারা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে গত সোমবার উত্তর সিটির মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান থাকায় এরইমধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
গেজেট প্রকাশের পরপরই ঢাকা উত্তরসিটি নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। বলা হচ্ছে- এই নির্বাচনে জয়ের বিকল্প ভাবছে না বড় দুই দল আওয়ামী লীগ- বিএনপি। এছাড়া এই নির্বাচন ইসির জন্যও অগ্নিপরীক্ষা এমনকি সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়েও চলছে তুমুল আলোচনা ।
তবে এ নির্বাচনে প্রার্থী সিলেকশন বা নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে ভাবছে না বিএনপির নেতারা। তারা বলছেন, ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে- স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে।