সংযুক্ত আরব আমিরাতে মুনিরীয়া যুব তবলীগের এশায়াত মাহফিল মিলাদুন্নবী (দঃ) এর আদর্শ প্রতিষ্ঠাই ছিলো কাগতিয়ার গাউছুল আজমের রূহানী বিপ্লব -কাগতিয়ার মহান মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী।
কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মহান মোর্শেদ, আওলাদে রাসূল, হযরতুলহাজ্ব শাহ্ছুফি অধ্যক্ষ আল্লামা ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী বলেছেন, আইয়্যামে জাহিলিয়াতের অন্ধকার জীবন থেকে মানবগোষ্ঠীকে মুক্ত করে আলোকিত বিশ^ গড়ার জন্য আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর হাবীব (দঃ) কে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। আল্লাহ তা’য়ালার মহা বাণী ও তাঁর প্রিয় নবী (দঃ) সুন্দরতম আদর্শে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এক অনন্য সুন্দর পৃথিবী। তিনি মানবসৃষ্টির উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে অনুপম আদর্শ রেখে গেলেন বিশ^বাসির জন্য। এ আদর্শ যখন মুসলিম জাতির, বিশেষ করে মুসলিম যুব সমাজ ভুলে যেতে শুরু করলো ঠিক তখনই কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবারের প্রতিষ্ঠাতা খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা, খলিফায়ে রাসূল, হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্হু গাউছিয়্যতের কন্ঠে ডাক দিলেন, ‘হে যুবক! নামাজ পড়, রোজা রাখ, নবী কারীম (দঃ) এর উপর দরূদ পড়, মাতৃভূমি শান্ত কর।’ মোহনীয় এ ডাকে সাড়া দিয়ে আজ হাজার হাজার মুসলিম যুবক-যুবতীর মাঝে সৃষ্টি হলো ইসলামি মূল্যবোধ, সুন্নাতে নববীর গুরুত্ব, আত্মশুদ্ধির মনোবাসনা, রূহানী জগতে বিচরণের প্রবল উদ্দীপনা। যার ফলশ্রুতিতে বিশ^ ব্যাপী এ দরবারের অনুসারীরা পালন করছেন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) মাহফিল।
তিনি বলেন, মুহাব্বত দুই প্রকার, স্বভাবগত ভালবাসা ও অর্জিত ভালবাসা। সন্তান-সন্তুতি, পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন এর ভালবাসা হল স্বভাবগত ভালবাসা। আর রাসুল প্রেম হল অর্জিত ভালবাসা, যা গাউছুল আজমের তাওয়াজ্জুহর বদৌলতে অর্জন করা সম্ভব। তাহাজ্জুদ, জিকিরে জ্বলী, দরূদ শরীফ দিয়ে গঠনকৃত গাউছুল আজমের তরিক্বত হচ্ছে রাসুল প্রেম অর্জনের এক অনন্য মাধ্যম।
তিনি গত ৬ ডিসেম্বর, বুধবার পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উদযাপন উপলক্ষে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাখা সমূহের উদ্যোগে দুবাইস্থ আল মারাবিয়া স্ট্রিট, ইভেন্ট এরিনায় আয়োজিত বিশাল এশায়াত মাহফিলে উপস্থিত মুসলিম জনতার উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
কমিটির সাংগঠনিক তদারক পরিষদের আহবায়ক আলহাজ্ব নূর মুহাম্মদ সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আমিরাত ওলামা পরিষদের সদস্য মাওলানা মাহাবুবুল আলম বোগদাদী, জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ। এছাড়াও ভারত, পাকিস্তান এবং প্রবাসী বাংলাদেশীসহ স্থানীয় মুসলমানদের উপস্থিতিতে মাহফিল প্রাঙ্গন ছিল কানায় কানায় পূর্ন।
মাহফিল শেষে প্রধান অতিথি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি ও উপস্থিত সকলের ইহকালীন কল্যাণ, পরকালীন মুক্তি এবং কাগতিয়ার গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।