কমলগঞ্জের শহীদনগরে ৪৬ বছর পর প্রথমবারের মত ১০ শহীদকে মরনোত্তর সম্মাননা প্রদান
এ.কে.অলক মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নের শহীদনগর বাজারে মুক্তিযুদ্ধের ৪৬ বছর পর প্রথমবারের মত এ ইউনিয়নের ১০ জন শহীদকে আনুষ্ঠানিকভাবে মরনোত্তর সম্মানা প্রদান করা হয়।
১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার শহীদ বৃদ্ধিজীবী দিবসের দিবাগত রাত ৮টায় ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে গ্রামবাংলা সমাজ কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ইউপি সদস্য নারায়ন মল্লিক(সাগর)-এর সঞ্চালনায় সংস্থার সভাপতি আব্দুল হান্নান (চিনুর)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়ে শহীদ পরিবার সদস্যদের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিদ ভাইস চেয়ারম্যান মো: সিদ্দেক আলী, মৌলভীবাজার মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার নির্মল কুমার দাশ, পতনউষার ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী তৌফিক আহমদ(বাবু)।
অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি, মুক্তিডেযাদ্ধা, ছাত্র যুবক, ব্যবসায়ী, বিভিন্œ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও শহীদ পরিবার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য প্রদানকালে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে শহীদ আব্দুস শহীদের নাতনি ফারহানা আক্তার (জুলি) বলে, মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনেছি। মুক্তযুদ্ধের সময় দাদা পাকা হানাদারদের হাতে শহীদ হয়েছেন শুনেছি। দীর্ঘ ৪৬ বছরেও শহীদ হিসাবে সম্মান পায়নি তাদের পরিবার। আজ এ সম্মাননা পেয়ে গর্ববোধ করছি। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শহীদ পরিবারদের পক্ষে জোর দাবি হলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপজাতি পরিবার হিসাবে, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হিসাবে কৌটা সুবিধা সবাই পায়। অথচ দেশের জন্য শহীদ হয়েও শহীদ পরিবার এ সুবিধা পাচ্ছে না। তাই প্রধানমন্ত্রী যেন এ বিষয়ে একটু দৃষ্টি দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
শহীদ আব্দুর করিমের ছেলে পতনউষার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন বলেন, দীর্ঘ ৪৫ বছর পর তার মা গত বছর মারা গেলেন। তিনি দলীয় নেতার মা হিসাবে নেতৃবৃন্দরা দেখতে এলেন। অথচ এত বছর একজন শহীদের স্ত্রী হিসাবে দেখতে এলেন না। আজ দেশে শহীদ পরিবাররা অবহেলিত। দীর্ঘ পর হলে স্থানীয় সংগঠন ১০ শহীদ পরিবারকে সম্মাননা দেওয়া তিনি গর্ববোধ করছেন। অন্যান্য বক্তরা বলেন, স্থাণীয়ভাবে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নামে একটি ফলদ স্থাপন করতে হবে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য। এ.কে.অলক,মৌলভীবাজার,মোবাইল: ০১৬৩৮-৬৯৯৫৫০,০১৭১৪-৭১৮৮৫১