বিশ্ববিদ্যালয় কেবল পাঠদান নয় বরং উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার শ্রেষ্ঠ পাদপীঠ: রাষ্ট্রপতি
কুষ্টিয়া: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, কুষ্টিয়ার প্রতি আমার আলাদা আকর্ষণ রয়েছে, যার জন্য আমাকে এখানে আসতে হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ছেলে-মেয়েরা এই ইসলামী বিশ্বদ্যিালয় পড়াশুনা করছে। আমারও চার মাসের কয়েকদিন বেশি থাকার সুযোগ হয়েছিল কুষ্টিয়াতে। তখন ১৯৭৬ সাল। ময়মনসিংহে সাত মাস জেল খাটার পর আমাকে ট্রাসফার করা হয় কুষ্টিয়াতে। ইসলামী বিশ্বদ্যিালয় চর্তুথ সমাবর্তনে সভাপতি বক্তব্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্চায মো: আব্দুল হামিদ এভাবেই স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, কুষ্টিয়া পূর্ববর্তী নাম ছিল নদীয়া। নদীয়ার নাম অনুসারে আমি আমার কন্যা সন্তানের নাম রেখেছি। রাষ্ট্রপতি যখন স্মৃতিচারন করেন স্টেজের পাশেই বসে ছিলেন স্ত্রী ও কন্যা। এসময় স্মৃতির ভিড়ে আবেগ আগ্রূত হয়ে তার স্ত্রীকে বারবার চোখ মুছতে দেখা য়ায়। দীর্ঘ ১৬ বছর পর রোববার সাড়ে ১২টায় চতুর্থ সমাবর্তনের উদ্ধোধন ঘোষনা করেন রাষ্ট্রপতি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সমাবর্তনের বক্তা মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ইবি উপার্যাচ্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর রশিদ আসকারী, উপ-উপাচায্য অধ্যাপক মোঃ শাহিনুর রহমান এবং কোষাধ্যাক্ষ অধ্যাপক সেলিম তোহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আব্দুল হাই। রাষ্ট্রপতি ক্যাম্পাসে অভ্যান্তে প্রবেশ করে প্রধান ফটকের সামনে নির্মিত মৃতুঞ্জয়ী মুজিব নামে বঙ্গবন্ধু মুয়াল, দুইটি আবাসিক হল এবং একটি একাডেমিক ভবনের উদ্ধোধন করেন। । রাষ্ট্রপ্রতি ২০জনকে পোস্ট গ্রাজ্যয়েট সনদ ও স্বর্ণপদক দেন।