নড়াইলে গলদা চিংড়ি চাষী হতাশ! ৮ কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা!
শরিফুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার নড়াইল
নড়াইলে অতি বৃষ্টির কারণে ৫শতাধিক গলদা চিংড়ি চাষীদের ৮কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখ হয়েছে। চাষীদের চিংড়ি মাছের রেণু ভাল না থাকায় চিংড়ি মাছ বড় হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। ফলে মূলধনের প্রায় ৪০শতাংশ পর্যন্ত লোকসান গুনছে চাষীরা। জেলার কালিয়া উপজেলায় মাছের হ্যাচারি না থাকায় চিংড়ির রেণু ক্রয় করতে যেতে হয় বরিশাল এবং ভোলায়। ফলে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আসা রেণু ০৫ থেকে ১০শতাংশ মারা যায় প্রতি প্যাকেটে। এবছর চাষীদের ক্রয়কৃত ৭৫শতাংশ রেণু মারা গেছে। তার পরও যে মাছ পাওয়া যাচ্ছে তার ও দাম কম। প্রতি কেজি মাঝারী গ্রেডের চিংড়ি ৪/৫শত টাকা এবং ছোট গ্রেডের চিংড়ি ৩/৪শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার (৯জানুয়ারী) সকালে সরেজমিনে গেলে উপজলোর চাঁচুড়ি গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন বলেন আমার তিনটা ঘেরে দেড় লাখ রেণু ছাড়ছিলাম ৫০ হাজার টাকার মাছ পেয়েছি। মাছের বৃদ্ধিও কম। তবে ২০/২৫টা চিংড়িতে ১কেজি হচ্ছে। ৮/১০টি চিংড়িতে ১কেজি হবার কথা ছিল । বেশী দামে খাবার কিনে মাছ উৎপাদনের করে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমার প্রায় ৪ লাখ টাকা লোকসান হবে বলে ধারণা করছি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্বে চাষীদের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে তিনি কোন খোঁজ খবর নেয় না। তবে অফিসে গেলে তাকে প্রায়ই পাওয়া যায় না। পেলে ও ভালো কোন পরামর্শ ও দেয় না। এ ব্যাপারে কালিয়া উপজলো মৎস্য কর্মকর্তা রাজিব রায় বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। চাষীদের কে সব ধরণের পরামর্শ দিয়ে থাকি। বর্তমানে বিশ্ববাজারে চিংড়ির চাহিদা কম। তাই দাম কম হয়েছে।