ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান -এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সৈয়দপুরে আলোচনা সভায়- আ আ ম স আরেফিন সিদ্দীক
জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : নীলফামারী সৈয়দপুরে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সৈয়দপুরে আলোচনা সভা ও বঙ্গবন্ধুর প্রকৃতিতে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করা হয়। ১০ জানুয়ারী দুপুরে সৈয়দপুর বাংলা হাই স্কুল মাঠে এসব কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। সৈয়দপুর বাংলা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর আ আ স ম আরেফিন সিদ্দীক পি.এইচ.ডি, সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন আমেনা কোহিনুর আলম সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ কমিটি সাবেক সহ সম্পাদক এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মোঃ আখতার হোসেন বাদল সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সৈয়দপুর উপজেলা শাখা, মোজাম্মেল হক সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সৈয়দপুর পৌর শাখা, মনোয়ারুল ইসলাম (মাসুদ) সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাখওয়াত হোসেন খোকন, শহীদ পরিবারের সন্তান মোহসিনুল হক মহসিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন যুবলীগ নেতা মোস্তফা ফিরোজ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন, গীতা পাঠ শেষে বঙ্গবন্ধু’র প্রকৃতিতে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি প্রফেসর আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কালের বিবরণী তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ২৪ দিন পর পাকিস্তানে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরেছিলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিব। দিনটি জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাসভবন থেকে পাকিস্তানি সেনারা আটক করে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়। ওই রাতেই বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর শুরু হয় বর্ববর হামলা।
পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগ মুহূর্তে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান বঙ্গবন্ধু। তার ডাকে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তি সংগ্রামে।
বন্দিদশায় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা তুলে ধরে শেখ মুজিব বলেন, “আমি জানতাম না আমি আপনাদের কাছে ফিরে আসব। আমি খালি একটা কথা বলেছিলাম, তোমরা যদি আমাকে মেরে ফেলে দাও আমার আপত্তি নাই, মৃত্যুর পর তোমরা আমার লাশটা আমার বাঙালির কাছে দিয়ে দিও; এই একটা অনুরোধ তোমাদের কাছে।”
তিনি আরো বলেন, আজকের এই দিনে ১৬ কোটি বাঙ্গালীর অঙ্গীকার হওয়ার দরকার বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন মুখ্য ভূমিকা পালন করা।