সুস্থ হয়ে আবারও মেশিনের চাকা সচল রাখতে চায়
আব্দুস সাত্তার, সাভারঃ
দেশের সিংহ ভাগই অর্থ অর্জিত হয় পোশাক-শিল্প থেকে। আর তা শ্রমিকদের শ্রমের বিনিময়ে সম্ভব হয়েছে। অথচ, কোন শ্রমিক অসুস্থ হলে যেন, দেখার কেহ নেই। শেষে চিকিৎসার অভাবে তাকে ধুকে ধুকে মরতে হয়।
এরকম এক ভুক্তভোগী মোঃ মাজাহার (২৮)। সে দিনাজপুর জেলার সিবির বন্দর থানাধীন দক্ষিণ আলোকদিঘী গ্রামের মোঃ সৈয়দ আলীর ছেলে। মাজাহার ঢাকা আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের একজন ভোটার।
দীর্ঘ ১৮বছর ধরে তার বাবার কোন খোঁজ নেই। সে হলো বৃদ্ধা মা আফেজা বেগমের একমাত্র অবলম্বন। মায়ের মূখে দু’মুঠো খাবার তুলে দেওয়ার জন্য সে ঢাকায় আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় এসে একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী নেয়। মেশিনের চাকা ঘুরিয়ে যা আয় হতো তা দিয়ে দু’মুঠো ডাল-ভাত খেয়ে মা ছেলের কোনমতে চলে যেত।
একদিন মাজাহার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে ডাক্তারের শরাণাপন্ন হলে তার কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে। ৩ বছর ধরে তাকে ডায়োলাইসিস করতে হয়। এতেকরে সর্বস্থ হারিয়ে তাকে গ্রামের বাড়ীতে চলে যেতে হয়। এখন সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সে সুস্থ্য হয়ে আবারও কারখানার মেশিনের চাকা সচল রাখতে চায়। ভুক্তভোগীর মা বিলাপের সঙ্গে বলেন, আজ আমার স্বামী দীর্ঘ ১৮বছর ধরে নিখোঁজ। এই ছেলে চাকুরী করে আমার মূখে দু’মুঠো খাবার তুলে দিতো। আজ আমার ছেলে অসুস্থ থাকায় আমাকে অনাহারে দিনযাপন করতে হচ্ছে। যদি চিকিৎসার অভাবে আমার ছেলের কিছু তাহলে আমি কোথায় যাব এই বলে সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তার কিডনির সমস্যা সমাধানের জন্য প্রায় ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। মূমুর্ষ ছেলের মায়ের আকুতি দেশ-বিদেশে অনেক স্বহৃদয়বান ব্যক্তি আছেন যাদের একটু সাহায্য পেলে হয়তবা তার ছেলে একটি নতুন জীবন ফিরে পেত।
তাকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানাঃ বিকাশ নং ০১৭৫৭-৪২৬৭২২ ও ০১৭৬৬-৪৫৩০২১।