আটকে গেল ফোর জি আদেশ দিল হাইকোর্ট,
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দেয়া ফোরজি মোবাইল ফোন সেবার লাইসেন্স এবং তরঙ্গ নিলামের জন্য আবেদন আহ্বানের বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দিয়েছে।
বিটিআরসির ওই বিজ্ঞপ্তি ২০০৮ সালের ব্রডব্যান্ড গাইড লাইন্সের সঙ্গে সাংঘর্ষিক- এ যুক্তি দিয়ে বাংলা লায়ন কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের পক্ষে গতকাল হাইকোর্টে রিট করে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. কামাল হোসেন সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রমজান আলী শিকদার ও সাইফুল আলম চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর বিটিআরসি ফোরজি এলটিই সেলুলার মোবাইল ফোন সার্ভিসের লাইসেন্সের জন্য প্রস্তাব আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে এ বছরের ১৪ জানুয়ারি প্রস্তাব জমা দেয়ার দিন ঠিক ছিল।
আইনজীবী রমজান আলী শিকদার আদেশের বিষয়টি বলেন, ২০০৮ সালে বিটিআরসির এক নীতিমালার দুটি নীতির পরিপন্থী ওই বিজ্ঞপ্তিটি। কেন না ২০০৮ সালের নীতিমালার ৪.০২ নীতি অনুসারে তিন জনের বেশি এ লাইসেন্স (বিডব্লিউএ, ফোরজি) দেয়া যাবে না।
সরকারকে একটি দেয়া যাবে। ৪.৬ (৩) নীতি অনুসারে মোবাইল ফোন অপারেটররা এ জন্য যোগ্য হবে না। ২০০৮ সালের ওয়ারলেস ব্রডব্যান্ড নীতিমালার ওই দুই নীতি উপেক্ষা করেই ফোরজি লাইসেন্সের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হলে আদালত ওই আদেশ দেয়।
রুলে দরপত্র আহ্বানের নোটিশ ওই দুটি নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।