লালমনিরহাটে দেখা দিয়েছে শীতজনিত রোগ, অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৪ জনের মৃত্যু
লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাটে প্রতিনিয়ত শীতের তীব্রতা সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। শীত থেকে রক্ষা পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে গত ১০ দিনে জেলায় ৪ জনরে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রচন্ড শীতের কারণে শীতজনিত রোগ দেখা দিয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে ট্রেন ও বাসসহ সকল যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত। তিস্তা ও ধরলা নদীর চর এলাকা গুলোতে প্রায় শতভাগ মানুষই শীতবস্ত্রহীন। বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। শীতবস্ত্র হিসাবে যা বিতরণ করা হয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, শীত থেকে রক্ষা পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ওই হাসপাতালে বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ দিনে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ জনের বাড়ি লালমনিরহাট জেলায়। এরা হলেন, সদর উপজেলার শাম্মী আখতার ও সুখময়ী, পাটগ্রাম উপজেলার ফাতেমা বেগম ও আলো বেগম।
ওই হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের রেজিষ্ট্রার ডা. তাওহিদ আলম জানান, কয়েকদিন ধরে এ হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। আমরা রোগীদের সুস্থ করতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করছি।
লালমনিরহাট সদরসহ উপজেলার হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিক ঘুরে দেখা যায়, প্রচন্ড শীতের কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, কোল্ড এলার্জি ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগ দেখা দিয়েছে। তাদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধার সংখ্যাই বেশি। গত ১০ দিনে শীত জনিত রোগে জেলায় অন্তত ৩ শতাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতাালে চিকিৎসা নিয়েছে।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ কাসেম আলী জানান, কয়েক দিন ধরে শীতের প্রকোপ দেখা দেয়ায় ঠান্ডা জনিত রোগ দেখা দিয়েছে। আমরা সকলকে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করার পরামর্শ দিচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ বলেন, জেলায় সরকারি ও বেসরকারি ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। এবারে প্রচন্ড শীত দেখা দিয়েছে তাই প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান মানুষের শীত বস্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।