সংসদে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল পাস
রাজশাহী শহর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ সংশোধন, পরিমার্জন ও যুগোপযোগী নতুন আইন প্রণয়নের বিধান করে জাতীয় সংসদে ‘রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল-২০১৮’ সংশোধিত আকারে পাস করা হয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এছাড়া চট্টগ্রাম ও খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল নামের পৃথক দুটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার সংসদ অধিবেশনে ‘রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল-২০১৮’ নামের বিলটি উত্থাপনের পর বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মো. ফখরুল ইমাম, নুরুল ইসলাম মিলন, বেগম রওশন আরা মান্নান ও বেগম নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী এবং স্বতন্ত্র সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী বিলের ওপর জনমত যাচাই এবং বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। তাদের উত্থাপিত সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর মধ্যে দুটি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়।
পাস হওয়া বিলে উল্লিখিত অধ্যাদেশের অধীন প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এমনভাবে বহাল রাখার বিধান করা হয়, যেন তা বিলের বিধান অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কর্তৃপক্ষের কার্যালয় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় রাখার বিধান করা হয়েছে। এছাড়া একজনকে চেয়ারম্যান করে ১৩ সদস্যের কর্তৃপক্ষ গঠনের বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও কার্যাবলি, কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী, কর্তৃপক্ষের সভা, পরামর্শ বা সহযোগিতা, কমিটি গঠন, মহাপরিকল্পনা, উন্নয়ন প্রকল্প, মহাপরিকল্পনা সংশোধন, জনস্বার্থ অন্তর্বর্তী উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, বিনোদন ও পর্যটনকেন্দ্র স্থাপন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন ভূমি ও ইমারত ন্যস্তকরণ, ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমি হস্তান্তর, কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যস্ত করা সরকারি রাস্তা, নর্দমা, চত্বর, ইমারত, ভূমি অথবা এর অংশবিশেষ রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন কর ধার্যের ক্ষমতা, তহবিল, হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা, বার্ষিক বাজেট, কর্মচারী নিয়োগ, জনসেবক নিয়োগসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলের বিধান লংঘনে বিধিনিষেধ, অপসারণ, দণ্ডসহ সংঘটিত অপরাধের বিচার ও শাস্তি প্রদানে বিধান করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ও খুলনা বিল উত্থাপন:
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ সংশোধন, পরিমার্জন ও যুগোপযোগী করে নতুন আইন প্রণয়নের বিধান করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল-২০১৮ এবং খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ সংশোধন, পরিমার্জন ও যুগোপযোগী করে নতুন আইন প্রণয়নের বিধান করে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল-২০১৮ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিল দুটি উত্থাপনের পর সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। কমিটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে সংসদে বিলের রিপোর্ট প্রদানের জন্য বলা হয়েছে।
বিল দুটি উত্থাপনের প্রক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির মো. ফখরুল ইমাম আপত্তি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।