ভোটের রাজনীতিতে যারা অচল, তারাই বাঁকা পথ খোঁজে: প্রধানমন্ত্রী
ভোটের রাজনীতিতে অচল যারা তারাই ক্ষমতায় যেতে বাঁকা পথ খোঁজে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ অধিবেশনে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় সংসদে গঠনমূলক বক্তব্য রাখায় বর্তমান বিরোধীদলকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সমষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ছোঁয়া প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছানোর লক্ষে সরকার কাজ করছে।
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই এটি সম্ভব হচ্ছে— সেইসঙ্গে সংসদে গণতান্ত্রিক মনোভাব নিয়ে গঠনমূলক বক্তব্য রাখায় বর্তমান বিরোধীদলকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
সবাইকে নিয়েই চলতে চাই— তবে একটা কথা আছে। কবি বলেছেন ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল একলা চলরে....একবার নয় বারবার বলেছেন একলা চল, একলা চল, একলা চলরে। তবে একজনকে তো হাল ধরতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাড়ি একজনই চালায়, তবে সঠিকভাবে চালাতে হবে। নৌকা গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য একজন মাঝি লাগে। সেই মাঝি যদি সঠিকভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে চায় বা পারে তাহলে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারে। আর যদি সঠিকভাবে না চালাতে পারে তাহলে কিন্তু মাঝখানে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
‘খুব স্বাভাবিকভাবেই একটি দেশ পরিচালনা তো আর কেউ এককভাবে করতে পারে না। তবে হ্যাঁ, একজনকে তো উদ্যোগ নিয়ে, ভালো-মন্দ সবকিছুর দায়িত্ব নিয়েই চলতে হয়। আমি সব সময় চেষ্টা করি সবাইকে নিয়েই চলতে, সবাইকে নিয়েই চলবো। তবে এখানে একটা কথা আছে, ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলরে।’
তিনি বলেন, এই দেশটা আমাদের, দেশের সমষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ছোঁয়া যেন প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছায়। তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছাক সেটাই আমরা চাই। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আজকের এই অর্জন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। আমরা সবাই মিলে কাজ করেছি বলে সম্ভব হয়েছে।
বর্তমান বিরোধীদল জাতীয় পার্টিকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদল গঠনমূলক বক্তব্য রেখেছে, আলোচনা করছে। অন্তত বিএনপি থাকতে যখন বিরোধীদলে ছিল তখন যে খিস্তি-খাউর ছিল, হতো যেসব আলাপ-আলোচনা হতো কান পেতে শোনা যেত না। এখন সেসব নেই। অত্যন্ত গণতান্ত্রিক মনোভাব নিয়ে একটি গঠনমূলক আলোচনা করছে বিরোধীদল। সর্বক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে।
তিনি বলেন, দেশবাসীর কাছ থেকে সর্বতভাবে সহযোগিতা পাচ্ছি। উন্নয়নের ফসল গ্রাম পর্যায়ে পাচ্ছে। আমরা বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। জাতির পিতা যে সংবিধান দিয়ে গেছেন সেই সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকার।