রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: প্রক্রিয়া শুরু না করায় বাংলাদেশকেই দুষছে মিয়ানমার
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু না করায় এরজন্য বাংলাদেশকেই দায়ী করছে মিয়ানমার— তাদের দাবি, বাংলাদেশ প্রস্তুত না থাকলেও তারা রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত। এদিকে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রম বিলম্বিত করায় বাংলাদেশকে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের একটি প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গতকাল-মঙ্গলবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখনো শুরু করেনি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকেই শুরু হওয়ার কথা ছিল রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। কিন্তু প্রয়োজনীয় আয়োজন অসম্পূর্ণ থাকায় তা শুরু হচ্ছে না।
বাংলাদেশ বলছে- যাদের ফেরত পাঠানো হবে সেই তালিকা এখনো প্রস্তুত না রোহিঙ্গাদের জন্য যাচাই-বাছাই ও ট্রানজিট ক্যাম্পও এখনো প্রস্তুত হয়নি। আর তাই এখনই তাদের ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না।
এরইমধ্যে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মিয়ানমার দাবি করছে, তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে প্রস্তুত। দেশটির আন্তর্জাতিক সহায়তা বিষয়ক মন্ত্রী কিয়াও তিনের বরাত দিয়ে সংস্থাটি আরো জানিয়েছে সমঝোতা অনুযায়ী এরইমধ্যে সব কাজ সম্পন্ন করেছে দেশটি।
এদিকে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রম বিলম্বিত করায় বাংলাদেশকে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার মার্কিন সিনেট প্রতিনিধি দলের সামনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি প্রস্তাব পেশ করে যুক্তরাষ্ট্রের সংসদীয় অনুসন্ধান দল। যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট দলের সিনেটর জেফ মের্কলেইরের নেতৃত্বে চারজনের একটি সংসদীয় অনুসন্ধান দল গত নভেম্বরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করেন। এই চার জনই সিনেটর প্রতিনিধিদের সামনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রস্তাবটি করেন।
তারা বলেন- মিয়ানমারে সহিংস জাতিগত নিধন অভিযানের পর অবশ্যই রোহিঙ্গাদের স্বতঃস্ফূর্ত নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতার পর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় সাড়ে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে অভিহিত করেছে। এদিকে, আশিয়ানভুক্ত দেশগুলো মিয়ানমারের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।