জাতীয় জাদুঘরে নবাব ফয়জুন্নেছা, বাঙালি সমাজের আলোকবর্তিকার উপর সেমিনার অনুষ্ঠিত
এস এম আলমগীর কবির নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও পিএনএফ ট্রাস্ট এর যৌথ আয়োজনে সোমবার ২৯ জানুয়ারি বিকালে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাকক্ষে ব্রিটিশ শাসনামলের প্রথম মুসলিম মহিলা নবাব, দানশীল ও বাঙালি সমাজের আলোকবর্তিকা নবাব ফয়জুন্নেছার উপরে একটি সেমিনার এর আয়োজন করা হয়। এতে প্রামাণ্যচিত্র ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিএনএফ ট্রাস্টের ফাউন্ডার ও বিশিষ্ট সাংবাদিক সুপন রায়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম এমপি ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব ইব্রাহিম হোসেন খান। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম, প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ সোনিয়া নিশাত আমিন এবং প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের এর মহাপরিচালক জনাব আলতাফ হোসেন। সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা শামীম আখতার।
সেমিনারের শুরুতে পিএনএফ ট্রাস্টের ফাউন্ডার ও বিশিষ্ট সাংবাদিক সুপন রায় ব্রিটিশ শাসনামলের প্রথম মুসলিম মহিলা নবাব, দানশীল ও বাঙালি সমাজের আলোকবর্তিকা নবাব ফয়জুন্নেছার উপরে একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। এরপর উপস্থিত অতিথিরা এই মহান নারীর বৈচিত্রময় জীবনের উপর আলোকপাত করেন। তারা বলেন, নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মহিলা নওয়াব। তিনি অনেকটা নিজের অদম্য ইচ্ছার কারনে শিক্ষিত হন। শিক্ষা, সমাজকল্যাণ ও সেবাব্রতে তিনি যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন তা ইতিহাসে বিরল। নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার প্রহিলা নওয়াব। তিনি সমাজ সংস্কারের অংশ হিসেবে মেয়েদের শিক্ষার প্রজার প্রচেষ্টা করেন। মহারাণী ভিক্টোরিয়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ফয়জুন্নেসাকে বেগম এবং এর পর নওয়াব উপাধি দেন। ১৮৮৯ সালে তার নির্দেশক্রমে ফয়জুন্নেসাকে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে 'নওয়াব' উপাধি দেয়া হয় বলেও জানান আলোচকেরা।