লালমনিরহাটে ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা ১৬ পরীক্ষার্থীর পাশ অনিশ্চিত
লালমনিরহাট প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান সাজু,
লালমনিরহাটে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব অবহেলা ও ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেয়ার কারণে ১৬ শিক্ষার্থীর চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষায় পাশ নিয়ে অনিশ্চয়তায় দেখা দিয়েছে। এমন ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার আর এম এম পি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিভিন্ন কারণে তুষভান্ডার নছর উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়য়ের ০৯ জনসহ ১৬ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরন করতে পারেনি। তারা ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য ফরম পুরণ করে বাংলা ১ম ও ২য় পত্রের পরীক্ষায় অংশ নেয়। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডর নিয়ম মতে, ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ফরম পূরণ করেননি তারা ২০১৮ সালের পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করলে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিবে। সে অনুয়ায়ী ওই সব শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে আসছে। কিন্তু তুষভান্ডার আর এম.এম.পি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব নলিনী কান্ত রায় সেই নিয়ম তোয়াক্কা না করে ওই সব শিক্ষার্থীদেরকে গত সোমবার ২০১৭ সালের সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্ন সরবরাহ করেন। তাৎক্ষণিক শিক্ষার্থীরা ও কক্ষ পরিদর্শকরা বিষয়টি কেন্দ্র সচিবকে অবহিত করলে কেন্দ্র সচিব আমলে না নিয়ে উপরোন্ত শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে বেড় করে দেয়ায় হুমকি দেয়। শিক্ষার্থীদের সবরাহকৃত প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়ার বাধ্য করেন কেন্দ্র সচিব।
তুষভান্ডার উচ্চ বিদালয়ের প্রধান শিক্ষক বহুরুল ইসলাম জানান, আমার ০৯ জন শিক্ষার্থী ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুযায়ী পড়ালেখা করেছে। এখন ২০১৭ সালের সিলেবাসের প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়ায় পরীক্ষার ফলাফল ভাল হবে না। এতে বিদ্যালয়ের পাশের হার কমে যাবে অপর দিকে ওই শিক্ষার্থীদের একটি বছর শিক্ষা জীবন থেকে ঝড়ে পড়বে। এর দায় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সচিব এড়াতে পারেন না।
ওই কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান বলেন, আমি শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের সুষ্ঠু পরিবেশ নিরাপত্তার ব্যাপারটি দেখি। সিলেবাস ও প্রশ্নপত্রের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সচিবের।
তুষভান্ডার আর এম এম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব নলিনী কান্ত রায় বলেন, আমি পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র নেয়ার জন্য থানায় যাই না। আমার প্রতিনিধিরা যান। ওই দিনের পরীক্ষার দায়িত্বরত পরিদর্শক ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরাই দায়ী। ওই কক্ষের ৪ জন পরিদর্শককে বহিস্কার করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসান জানান, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।