খালেদা জিয়া কারাগারে,যশোররে শীর্ষ নেতারা আত্নগোপনে
যশোর (শার্শা) প্রতিনিধি : গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফারেনজ ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৫ বছরের কারাদণ্ডিত হয়ে ঢাকা নাজিম উদ্দিন রোডস্থ পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগার কারান্তরীণ আছেন,বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে ১০ বছর কারাদণ্ড আদেশ দেন আদালত,প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ এ ফেঁটে পরে বিএনপির নেতাকর্মিরা, যে যার স্থান থেকে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করে,
কিন্তু যশোর জেলা বা উপজেলা বিএনপির অবস্থা সর্ম্পণ ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে,জেলার কোথায় রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ মিছিল করতে মাঠে দেখা যাচ্ছে না বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের,যশোর জেলা বা উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা কার্যত আত্নগোপনে রয়েছে,রায় ঘোষণার কয়েকদিন আগে থেকে যশোর জেলা বা উপজেলার শীর্ষ নেতাদের কে খুঁজে পাচ্ছে না তৃণমুলের নেতাকর্মিরা
খালেদা জিয়ার রায় ঘোষণার সাথে সাথে জেলা ছাত্রদলের ব্যানারে যশোর শহরে একটি ঝটিকা বিক্ষোভ মিছিল হয়,শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরও জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল করে, সেগুলোকে বিক্ষোভ মিছিল না বলে ফটোসেশন বললে চলে,কিন্তু সেখানেও মধ্যম সারির ১/২ জন নেতাকে দেখা গেলেও শীর্ষ পর্যায়ের কোন নেতাদের কে দেখা যায়নি, উপজেলা পর্যায়ের কোথায় বিক্ষোভ মিছিল বা প্রতিবাদ মিছিল করতে দেখা যায়নি,
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া চরম দুর্দিন যশোর বিএনপি শীর্ষ নেতাদের এমন আত্নগোপনে তৃণমুল নেতাকর্মিদের মাঝে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে,নাম প্রকাশেঅনিচ্ছুক
তৃণমুল বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মি ক্ষোভের সাথে বললে যাহারা দলের চরম বিপদে আত্নগোপন করে তাদের পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত,তারা আরো বলেন চুপচাপ থাকলে,দলের মিছিল মিটিং এ না গেলেও,এলাকার বাহিরে থাকলেও যখন পুলিশ আমাদের কে ধরে নিয়ে, অস্ত্র মামলা,হত্যা মামলা,বোমা বিস্ফোরক ও নাশকতার মামলা দিচ্ছে,তাহলে কেনো আমরা পালাবো,রাস্তায় আন্দোলন করে মামলা খেয়ে জেলে যাবো।
জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য,সাবেক মন্ত্রী তরিকুর ইসলাম সুস্থ থাকা অবস্থায় তিনি যশোর জেলা বিএনপি সাথে জাতীয় সকল আন্দোলনে মাঠে থাকতেন এবং সব আন্দোলন বেগবান করতেন,কিন্তু তিনি বর্তমান শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ,তার সন্তান বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক(খুলনা বিভাগীয়) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত অপর সন্তান সুমিত ইসলাম রায় ঘোষণার কয়েকদিন আগে ঢাকা ডিবি পুলিশে হাতে আটক হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক আছেন,
কিন্তু যশোরের বাঘা বাঘা নেতা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য মতিয়া ফারাজি,আবুল কালাম আজাদ,টিএস আয়ুব,সাবিরা নাজমুল, যশোর জেলা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম শামছুল হুদা,সাধারন সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু,সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, মিজানুর রহমান খান,গোলাম রেজা দুলু, মোহাম্মদ ইসাহক, সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম,জেলা যুবদলের সভাপতি এহসানুল হক মুন্না,সাধারন সম্পাদক এম তমাল সহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, বিএনপির সম্ভব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বাহিরা থাকা সত্তেও বিএনপির চেয়ারপার্সন এর মামলার রায়ে দন্ডিত হলেও তাদের কাউকে মাঠে আন্দোলন করতে দেখা যাচ্ছে না,তাহলে কি তরিকুল ইসলাম পরিবার ছাড়া যশোর বিএনপি অচল ! প্রশ্ন থেকে যায়