মৃৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে ১৪ মাস পর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নিহত আদিবাসী রমেশ টুডুর লাশ উত্তোলন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
পিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য ১৪ মাস পর মঙ্গলবার আদিবাসী সাঁওতাল রমেশ টুডুর মৃতদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে সুরতহাল রিপোর্টের পর লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পিবিআই গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, গোবিন্দগঞ্জের বাগদা ফার্মে জমি দখল নিয়ে ২০১৬ সালে আদিবাসী পল্লীতে আদিবাসীদের সাথে মিল শ্রমিক ও পুলিশি হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এসময় আদিবাসীদের ছোড়া তিরবিদ্ধ হয় ৯ পুলিশ সহ ৩০ জন আহত হয়। অপরদিকে ঘটনাস্থলেই আখ ক্ষেত থেকে রমেশ টুডুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গল মার্ডি ও শ্যামল হেমব্রম নামে দুই আদিবাসী মারা যায়। হাসপাতালে নিহত দুজনের মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর সৎকার করা হলেও পুলিশি প্রহরায় ময়না তদন্ত ছাড়াই আদিবাসী রমেশ টুডুর মৃতদেহ আদিবাসী পল্লীর সিংটাজুড়ি গ্রামে সৎকার করা হয়।
এঘটনায় স্বপন মুর্মু বাদী হয়ে ও পরে গত ২৬ নভেম্বর থমাস হেমব্রম বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডাইরী করেন। সাধারন ডাইরীর পর থমাস হেমব্রম বাদী হয়ে রমেশ টুডুর মৃত্যুর কারণ জানতে হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোটের নির্দেশে মামলাটি পিবিআই গাইবান্ধাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। আদেশের প্রেক্ষিতে গাইবান্ধার পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন রমেশ টুডু কিভাবে মারা গেছে তার কারণ নির্ণয় করতে রমেশ টুডুর লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। আদালতের নির্দেশে ম্যাজিষ্ট্রেট রাফিউল আলমের উপস্থিতিতে পিবিআই গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জের আদিবাসী পল্লী সিংটাজুড়ি গ্রাম থেকে রমেশ টুডুর লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেন।