প্রশ্নফাঁস: বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ
চলমান এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় ও প্রশাসনিক কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই ঘটনায় সরকারের নিস্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোঘণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এই রুলসহ এ আদেশ দেন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ২০ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ঢাকা জেলা ও দায়রা জজের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের যে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এই কমিটির কাজ হচ্ছে, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে কারা জড়িত এবং তাদের শাস্তি কী হওয়া উচিত, তা খুঁজে বের করা এবং নির্ধারণ করা।
সেই সঙ্গে আদালত বুয়েটের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদের নেতৃত্বে আর একটি প্রশাসনিক কমিটি করে দিয়েছেন। পাঁচ সদস্যের এই কমিটির কাজ হচ্ছে, প্রশ্নফাঁস প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, কী কী সমাধান আছে, সেগুলো নির্ধারণ করা।
আদেশের পর রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, আজকের এই আদেশের কপি পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে।এবং কাজ শুরু করার ৩০ দিনের মধ্যে এই কমিটি দুটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
প্রশ্নফাঁসের ঘটনা মাদকের চেয়েও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেন, যে কোনোভাবেই তা বন্ধ করতে হবে। উচ্চ আদালত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে।
আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম।আর রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
এর আগে এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনার প্রেক্ষাপটে পরীক্ষা বাতিল সহ কয়েকটি নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আইনুর নাহার সিদ্দিকা, শিকদার মাহমুদুল রাজি, মোহাম্মদ রাজু মিয়া ও আইনজীবী নূর মুহাম্মদ আজমী।
চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ফাঁস হতে থাকে। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের পদত্যাগেরও দাবি উঠে।