নবীগঞ্জের দিনারপুরে ফের পাহাড় কাটা ভুমিদস্যুদের ছাড় দেয়া হবেনা-জেলা প্রশাসক
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
নবীগঞ্জ উপজেলায় ফের পাহাড় কাটা শুরু হয়েছে । পাহাড়ি পরগণা হিসেবে খ্যাত দিনারপুর অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যখন পাহাড় কাটা ভূমিদস্যুদের হাত থেকে মরতে মরতে বেচেঁ উঠার নতুন করে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিল ঠিক তখনই প্রকাশ্যে অবাধে হাইকোর্টেও পাহাড় সংরক্ষণ করার নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ফের পাহাড় কাটায় মেতে উঠেছেন সমাজের কিছু অসাধু ব্যক্তি । প্রশাসনের চোখের সামনে এমন কর্মকান্ডে বিলিন হয়ে যাচ্ছে হবিগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি অঞ্চল দিনারপুর পরগণার কয়েক শতাব্দীর ঐতিহ্য । দিনারপুরে পাহাড় কাটা এখন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে । অল্প কিছুদিন বন্ধ থাকার ফের চলছে পাহাড় নিধন । বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের বরকান্দি গ্রামের মৃত নাইয়র মিয়া পুত্র কাওছার মিয়া তার নিজ তত্ত্বাবধানে বাড়ির নিকটবর্তী টিলা কেটে মাটি বিক্রি করছেন । স্থায়ীয়রা বলেন, কাওছার কয়েকদিন ধরে মাটি বিক্রি করছে, এ প্রতিবেদকের পরিচয় গোপন রাখলে স্থানীয় এক মহিলা বলেন আপনারা কী মাটি কিনতে আসছেন,কাওছারের কাছে প্রচুর মাটি আছে নিতে পারবেন। সচেতন মহলের লোকজন জানান,প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড় কাটা বন্ধের লোক দেখানো অভিযান করে লাভ নেই ইতিপূর্বে যারা পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে যদি প্রশাসনিক ভাবে মামলা দায়ের করে আইনের আওতায় আনা হতো তাহলে পাহাড় বা টিলা কেটে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করার এত সাহস কেউ করতোনা। পাহাড় কাটার ফলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিলিন হয়ে যাচ্ছে তাই প্রশাসনের প্রতি আমাদের অনুরোধ লোক দেখানো অভিযান বন্ধ করে হাতেনাতে ভূমিদস্যুদের গ্রেফতার করতে সচেষ্ট হন । এঘটনায় গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ পানিউমদা পাহাড় কাটার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ।
এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাউল গণি ওসমানী জানান, পাহাড় কাটার খবর পেলেই এব্যাপারে যথাযথ আইনি প্রদক্ষেপ গ্রহণ করি,প্রশাসন সব সময় এব্যাপারে সর্বদা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে । ভূমিদস্যুদের ছাড় দেয়া হবে না জানিয়ে জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমা এ প্রতিবেদককে জানান, দিনারপুরে পাহাড় কাটা বিষয়ে ইতিপূর্বে আমরা একাধিক বার প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছি,থানায় জিডিও করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষার্থে আমাদের পক্ষ থেকে সবসময় সব ধরণের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে ।