জয়পুরহাটের মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের করা দুর্নীতির ৬ মামলার আসামী গ্রেপ্তারী পরোয়ানার পরেও কর্মস্থলে বহাল
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ নিরেন দাস।
জয়পুরহাট জেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর করা দুর্নীতির ৬ মামলার আসামী খলিলুুুুল্লাহর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা থাকার পরেও রাষ্ট্রীয় কর্মস্থলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন বর্তমানে জয়পুরহাটের মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে।
নাটোরের সাবেক এই শিক্ষা কর্মকর্তা প্রকাশ্যে দায়িত্ব পালন করলেও, আছেন আইনি ধরাছোঁয়ার বাইরে এমনকি তার অনুপস্থিতিতেই চলছে ৬ মামলার বিচার কাজ। যাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুশীল সমাজের নাগরিক ও জন প্রতিনিধিরা। যদিও বা পুলিশ বলছেন, তাকে দ্রুতই গ্রেপ্তার করে আইনি আওতাভুক্ত করা হবে।
সূত্র অনুসারে শিক্ষা কর্মকর্তা আসামী ইব্রাহিম খলিলুল্লাহর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও তিনি দিব্যি বর্তমানে রাষ্ট্রীয় কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করছেন। আরও জানা যায় নাটোর জেলার নাটোর লালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ জন শিক্ষককে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ ওঠে তৎকালীন নাটোর জেলায় যিনি বর্তমানে জয়পুরহাট জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ।
তাহার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার ঘটনায় সেই বছরই নাটোর জেলার লালপুর মডেল থানায় ৬ টি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।
(দুদক) এর করা মামলার প্রধান আসামী ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের পর আদালতের রায়ে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন বিজ্ঞ আদালত।
যে রায়ের দুর্নীতি মামলার অন্যান্য আসামীরা জামিন নিলেও উক্ত মামলার প্রধান আসামী ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ এখনো জামিন নেননি।
এমনকি গত বছরে (দুদক) এর করা চলমান মামলার প্রধান আসামী কে আদালত ১০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেও তিনি আদালতের নির্দেশ অবমাননা করে আদালতে উপস্থিত হননি বলে জানা যায়। তাহা স্বর্থেও তিনি রাষ্ট্রীয় কর্মস্থলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ।
পুলিশের দেয়া আশ্বাসে জনসাধারণেরা বলেন শুধু আশ্বাস নয় এবং দ্রুত অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনা হোক এমনটা প্রত্যাশা করছেন স্থানীয় সুশীল সমাজ।