শ্রীপুরে বনের জমি দখল করে সীসা কারখানা!
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে বনের জমি দখল করে এবং বনের পাশে ৩টি অবৈধ সীসা কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় দিন রাত সামাজিক বনায়নের চোরাই কাঠ পুড়িয়ে সীসা বানানো হচ্ছে। এতে একদিকে উজার হচ্ছে সামাজিক বনায়ন অন্যদিকে কারখানার কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলি গ্রামে ২টি, সিসিডিবির বনের ভিতরে ১টি মোট ৩টি সীসা কারখানা অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে। কারখানার চুলাগুলো মাটি ও ইটের তৈরি। সামনে স্তুপ দিয়ে রাখা আছে বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ। ছয়-সাতজন শ্রমিক দিনরাত প্রতিটি কারখানায় কাজ করছেন।
এতে কাঠ পোড়ানোর চুলা থেকে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশ। হুমকিতে জীববৈচিত্র্য উজাড় করা হচ্ছে সামাজিক বনায়ন। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। সিসিডিবি সীসা কারখানা মালিক ১আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলার তালতলি গ্রামের সীসা কারখানা আরেক মালিক শহিদুল ইসলাম বলেন,ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার,ও স্থানীয় নেতাসহ সব দফতরকে ম্যানেজ’ করেই ব্যাটারী পোড়ানোর কাজ করা হচ্ছে। ওই কারখানা থেকে ৫০ গজের মধ্যে জসিম মিয়ার বাড়ি। তিনি বলেন, কালো ধোঁয়ায় সীসার গ্যাসে বাড়িতে বসবাস করা যায়না,গরু ছাগল ঘাস খেতে পারেনা,সীসার বিষাক্ত গ্যাসে কয়েক জনের গরু মারা গেছে। এতে অসুবিধা হলেও টাকার লোভে সমস্যা মনে হয় না অনেক নেতাদের। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসব কারখানায় বন বিভাগের চুরি করা গাছসহ মেহগনি, আম, কাঁঠাল, সামাজিক বনায়নের আকাশমনি, ইউক্লিপটাস গাছ পুড়িয়ে ব্যটারি দিয়ে সীসা বানানো হয়। সেই সীসা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয়। কিছু বলতে গেলে পুলিশ দিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় কারখানার মালিক শহিদুল ইসলাম শহিদ।
প্রতিকেজি সীসা ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা বিক্রি করা হয়। সীসা ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া বলেন, সীসাগুলো আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করে থাকি।
সাতখামাইর বিট কর্মকর্তা মো. কাজল মিয়া বলেন, সীসা করখানার বিষয়ে আমাদের জানা নেই ওইসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বন আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহেনা আকতার বলেন,সীসা করখানার বিষয়ে আমার জানা নেই তবে তদন্ত করে ওইসব অবৈধ সীসা কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।