‘আমাদের প্রতিটি অর্জনে অনেক রক্ত দিতে হয়েছে’
আমাদের প্রতিটি অর্জনে অনেক রক্ত দিতে হয়েছে’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারি স্বীকৃতি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক মন্ডলে আমরা একে পরিচিত করেছি। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর আরও অনেক দেশই এখন মাতৃভাষা দিবস পালন করে।’
‘‘শুধু এখানেই থেমে থাকিনি। পৃথিবীতে বহু ছোট ছোট মাতৃভাষা হারিয়ে যাচ্ছে সেসব ভাষাকে ধরে রাখার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপন করেছি। কিন্তু ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না অসতে পারায় পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সেই কাজ বন্ধ করে দেয়। তাদের কাছে এর কোনো মূল্যই ছিল না।’
পরের বার ক্ষমতায় এসে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট গড়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেসময় জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন কফি আনান। তিনি বাংলাদেশে এসে এই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেন। বর্তমানে সারাবিশ্বের ভাষা নিয়ে সেখানে গবেষণা হচ্ছে।’
বিশ্ব ঐহতিহ্যের নানা স্বীকৃতির সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন: ‘আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে এদেশের স্বাধীনতা এনেছি। আমাদের অনেক ঐতিহ্য রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে জামদানী, নকশী কাঁথা, সিলেটের শীতল পাটি। আমরা এগুলোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছি।’
‘শুধু তাই নাই সবচেয়ে বড় কথা ৭ মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন। ৭ মার্চের ভাষণ এখন সারাবিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। ঐতিহ্যে স্থান পেয়েছে। ‘৭৫ এর পর বাজানো নিষিদ্ধ ছিল এ ভাষণ। ভাষণটি বাজাতে গিয়ে আমাদের অনেক নেতা-কর্মীকে প্রাণ দিতে হয়েছে। কিন্তু সেই ভাষণই আজ বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল।
তিনি আরও বলেন: ‘আমাদের প্রতিটি অর্জনের পেছনে অনেক রক্ত দিতে হয়েছে। অনেক ত্যাগ করতে হয়েছে। পাকিস্তানীদের কাছ থেকে আমরা স্বাধীন হলেও পাকিস্তানীদের কিছু প্রেতাত্মা আমাদের দেশে রয়ে গেছে যার কারণে আমাদের ঐতিহ্যের ওপর আঘাত আসে। ভাষার ওপর আঘাত আসে।’
এসময় একুশে পদকপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন: ‘একুশে ফেব্রয়ারি তাই আমরা ২১ জনকেই বেছে নিয়েছি। কিন্তু আমাদের আরও গুণীজন রয়েছেন। পরবর্তীতে যাদের আমরা সম্মাননা জানাবো।’