অর্পিত সম্পত্তি: খসড়া বিধিমালা বাতিলের সুপারিশ, না হলে আন্দোলন
অর্পিত সম্পত্তিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিধান রেখে "অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন"র বিধি প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার—এমন অভিযোগ এনেছে দেশের ৯টি মানবাধিকার সংগঠন।
শনিবার সকালে ঢাকা রির্পোটার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত।
সেমিনারে আসা বক্তারা জানান, যে উদ্দেশ্য নিয়ে ২০০১ সালের অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল তার বাস্তবায়ন না করে উল্টো রাষ্ট্রীয় সুবিধা পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওই সম্পত্তি প্রাপ্তির বিধি প্রণয়ন, নতুন করে সম্পত্তি আত্মসাতের ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন মানবাধিকার কর্মীরা।
ওই খসড়া বিধিমালা বাতিলের সুপারিশ করেন তারা— না হলে আবারও আন্দোলনে যাবার ঘোষণা দেন।
বিগত ২০০১ সালে প্রণীত অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইনে বেশ কিছু পরিবর্তন এনে সংশোধন করা হয় ২০১৩ সালে। ক্ষতিগ্রস্তদের নানা আন্দোলনের মুখে আইন বাস্তবায়নের কিছু উদ্যোগ সরকার নিলেও তা পুরোপুরি আলোর মুখ দেখেনি। এবার সেই আইনের অধীনে বিধিমালা তৈরি হচ্ছে। সে খসড়া বিধিমালায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অর্পিত সম্পত্তি স্থায়ীভাবে বরাদ্দ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এরই মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সমন্বয়ে গঠিত সমবায় সমিতির বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণে এমন জমি স্থায়ীভাবে বরাদ্দ দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছেন দেশের এমন নয়টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই বিধি ক্ষতিগ্রস্তদের অধিকার পরিপন্থি বলে অভিযোগ এনেছে সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
আইন বাস্তবায়নে সরকারের কালক্ষেপণ এবং এই বিধি প্রণয়নের সমালোচনা করে সুব্রত-খুশি কবির বলেন, আইন বাস্তবায়নে সরকারের সদিচ্ছার অভাব স্পস্ট।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাম্পদ্রায়িক বলে উল্লেখ করেছেন মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।
তিনি বলেন, সরকার এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে না এলে আবারও ক্ষতিগ্রস্তদের অধিকার আদায়ে আবারো আন্দোলনে যাবেন তারা।
ওই বিধিমালাকে জনস্বার্থ বিরোধী উল্লেখ করে, তা অবিলম্বে সংশোধন, পূর্বে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা কার্যকর করাসহ আট দফা দাবি তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে।