পিলখানা ট্র্যাজেডিতে শহীদ সেনা কর্মকর্তা এবং অন্যদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছে বাংলাদেশ।
পিলখানা ট্র্যাজেডিতে শহীদ সেনা কর্মকর্তা এবং অন্যদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছে বাংলাদেশ। নবম শাহাদত বার্ষিকীতে তাদের স্বজরা বলেছেন, এতো বেদনা এবং কষ্ট বুকে নিয়ে তারা অপরাধীদের শাস্তির আশায় পথ চেয়ে আছেন।
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নেতৃত্বে ছিলেন বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ। বনানীর সামরিক কবরস্থানে প্রথম কবরটিই তার। এরপরে পর্যায়ক্রমে ঘুমিয়ে আছেন ২০০৯ সালের ২৫ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় শহীদ অন্য সেনা কর্মকর্তারা।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামুদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার এবং বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন।
রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে কবর জিয়ারত করেন শহীদ কর্মকর্তাদের স্বজনরা। রক্তের উত্তরাধিকাররা শহীদদের পতাকা বহন করে চলেছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বিএমএ‘র ৮০তম দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নিতে যাচ্ছেন বিডিআর বিদ্রোহে শহীদ মেজর মিজানুর রহমানে বড় ছেলে রামি।
রামির দাদি বলছেন, মিজানের স্ত্রীও পরপারে চলে গেছেন, স্বামী হত্যার বিচার দেখে যেতে পারেননি তিনি। শহীদ মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের স্ত্রী নাজনিন শিপুর ভাই বলেছেন, এখনো তিনি খুঁজে ফেরেন তার প্রিয় বোনটিকে।
স্বজনদের আক্ষেপ যেনো কোনোদিনই শেষ হবার নয়। তারপরও শোককে বুকে ধারণ করে রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে যেতে হয়। বিজিবি মহাপরিচালক বলেছেন, বাহিনী এখন আরো সুসংগঠিত।
শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিএনপির নেতারা বলছেন, গভীর চক্রান্ত থেকেই এমন ঘটনা।
২০০৯ সালের নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কারো কারো সন্তানের বয়স তখন কয়েকদিন বা কয়েক মাস ছিলো। তারা এখন একটু বুঝতে শিখেছে। সেসঙ্গে এটাও বুঝেছে, তাদের সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গাটি হারিয়ে গেছে ইতিহাসের ঘৃণ্যতম এক ঘটনায়।