এলাকার মানুষের ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই... মেহেরপুরের দানবীর হাজি আবুল হাশেম মিঞা
এম এ লিংকন,মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ
মানুষের ভালোবাসা নিয়ে তিনি চিরকাল বেঁচে থাকতে চান। যে কারণে এলাকার মানুষের যে কোন সমস্যার কথা শুনলে তার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া যার বংশগত পরম্পরা হয়ে আছে। এমনই একজন সমাজ সেবক গরীব দুঃখি মানুষের আপনজন হয়ে এলাকার মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। এলাকার মানুষ যাকে গরীবের বন্ধু দানবীর হিসেবে জানে। তিনি নিজে থেকে প্রচার মাধ্যমে আসতে না চাইলেও এলাকার মানুষের মুখে মুখে তার সেবা মুলোক কর্মকান্ড তাকে একজন সমাজ সেবক সৎ মানুষ হিসেবে ইতোমধ্যেই পরিচিতি লাভ করেছেন। মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের মদনা গ্রামের মৃত মোয়াজ্জেম হোসেন ফরাজীর ছেলে হাজি মোঃ আবুল হাশেম মিঞা। বাপ দাদার আমল থেকেই তারা বংশীয় ভাবে মানুষের সেবা করে আসছেন। তিনি ও তার পূর্ব পুরুষ শহীদ জিয়ার আদর্শ বুকে ধারণ করে বিএনপি’র রাজনীতি করে আসছেন বলে জানান বর্তমানে তিনি জেলা বিএনপি’র সদস্য। আবুল হাশেম মিঞা ছোট থেকেই মানুষের সেবা করে আসছেন। তিনি আমঝুপি ইউনিয়নের খোকসা গ্রামের আবুল হাশেম হাফেজিয়া মাদ্রাসা এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংটি (বর্তমানে খোকসা হাফেজিয়া মাদ্রাসা) নিজ উদ্যোগে ও নিজের খরচে প্রতিষ্ঠিত করে দেন বলে তিনি জানান। একই ইউনিয়নের রঘুনাথ পুরে একেবারে নিজের খরচে একটি পূর্ণ জামে মসজিদ নির্মান করে দেন আবুল হাশেম মিঞা। এছাড়াও ইসলাম নগর গ্রামে নির্মিত একটি মসজিদে ২৮শ’ ফুট ছাদের নির্মান ব্যয় ভার তিনি বহন করছেন বলে জানান তিনি। শুধু তাই নয় সমাজ সেবক হাজি আবুল হাশেম মিঞা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না হয়েও তিনি জনপ্রতিনিধিদের মতোই এলাকার শীতার্ত মানুষের মাঝে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে প্রায় ৫শ’র অধিক কম্বল বিতরণ করেছেন। তার এধরণের সমাজ সেবা মুলোক কর্মকান্ডের কারণে এলাকার মানুষের কাছে তিনি দানবীর সমাজ সেবক হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। যদিও আবুল হাশেম মিঞা এ বিষয়টিকে কারোর কাছে বলতে চান না তার পরও এলাকা বাসির মুখে এর সত্যতা পাওয়া যায়। এখানেই শেষ নয় এর আগে মদনা গ্রামে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায় ৩০টি ঘর পুড়ে যায়। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে সমাজ সেবক আবুল হাশেম মিঞা প্রতিটি পরিবারকে এক বান্ডিল করে ঢেউ টিন, ধান ও বস্ত্র সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়াও এক সময় সামাজিক ভুল বুঝাবুঝি নিয়ে মদনা ও গোপালপুর গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয় এতে তিনি প্রধান ভুমিকা পালন করে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন এবং ক্ষতিগ্রস্থদের বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করেন। এছাড়াও আমঝুপি ইউনিয়নের শ্যাপুর বাজারে জন সাধারণের সুবিধার্থে একটি যাত্রি ছাউনি নির্মান করে দেন। এধরণের অনেক সামাজিক কর্মকান্ড তাকে এলাকাবাসি সমাজ সেবক হিসেবে তাদের হৃদয়ে জায়গা করে দিয়েছেন তার এ সামাজিক কর্মকান্ডের কারণে এলাকাবাসি তার মতো একজন অভিভাবককে বেছে নিতে চান বলে এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাজি আবুল হাশেম বলেন, আমি বিএনপি’র রাজনীতি করি এটা সত্য কিন্তু আমি আমার কোন মানুষকে রাজনৈতিক বিবেচনায় সেবা করিনা। তিনি বলেন আমি মনে করি এলাকা আমাদের সকলের আমরা সকলেই দেশকে ভালোবাসি-দেশের মানুষকে ভালোবাসি। মানুষের বিপদে মানুষই এগিয়ে আসে এটা আমি আমার বাপ-দাদার কাছে থেকে শিখেছি। তাই আমি মানুষকে সেবা করতে ভালোবাসি। যতুদিন পারবো আমি মানুষের সেবা করে যাব। আগামীতে ইউনিয়ন নির্বাচনের প্রস্তাব দিলে নির্বাচন করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এলাকার মানুষ যদি মনে করে আমাকে ভোটে দাড়াতে হবে তাহলে আমি বিষয়টি ভেবে দেখবো। তিনি আরো বলেন আমি এলাকার মানুষের স্বিদ্ধান্তের বাইরে কোন কাজ করবো না। কয়েকটি এলাকা ঘুরে সমাজ সেবক আবুল হাশেম সম্পর্কে জানতে চাইলে এলাকাবাসি আবুল হাশেম কে একজন দানবীর সমাজ সেবক হিসেবেই বাখ্যায়িত করেন। তারা হাজি আবুল হাশেম মিঞার মতো একজন সমাজ সেবক প্রতিনিধি চান বলে জানা যায়।