প্রখ্যাত লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলাকারীকে শনাক্ত করেছে পুলিশ।
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রখ্যাত লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলাকারীকে শনাক্ত করেছে পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, হামলাকারীর নাম ফয়জুল রহমান ওরফে ফয়জুল (২৪)। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের কুমারগাঁওয়ের শেখপাড়ার বাসিন্দা ফয়জুল। বাবা-মার সঙ্গে সেখানেই বসবাস করে।
ফয়জুল মাদ্রাসার ছাত্র। গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে।
মেডিকেল বোর্ড: জাফর ইকবালের চিকিৎসায় ঢাকা সিএমএইচ হাসাপাতলে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এই বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলবে।
এরআগে রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে আনা হয় অধ্যাপক জাফর ইকবালকে।
জাফর ইকবালকে দেখতে রাতে সিএমএইচে যান আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী।
সিলেট যাচ্ছে সিটিটিসি: ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলার তদন্ত এবং আটককৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার সিলেট যাচ্ছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স-ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের একটি দল।
জাফর ইকবালের উপর হামলার অভিযোগে আটক তরুণকে ইতিমধ্যে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার ঘটনাস্থল থেকে আটক ওই তরুণকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে র্যাব-৯ এর তত্ত্বাবধানে সিলেট ওসমানী মেডিক্যালে নিয়ে অধিকতর চিকিৎসা শেষে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শুরু হবে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
দীর্ঘদিন ধরেই মৌলবাদীদের হুমকির মধ্যে থাকা ড. জাফর ইকবালের উপর শনিবার বিকেলে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই হামলার শিকার হন দেহরক্ষী বেষ্টিত কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল। তার মাথায় আঘাত করা হয়েছে।
আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। ৬টার পরপরই তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সিএমএইচ-এ স্থানান্তর করা হয়।
জানা গেছে, শাবিপ্রবিতে একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান চলাকালে ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় পেছন থেকে তার ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে এক ব্যক্তি।
২০১৬ সালের অক্টোবরে জঙ্গি সংগঠন আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের পরিচয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হত্যার হুমকির পর জালালাবাদ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এই দম্পতি।
আগের বছর ২০১৫ সালে শাবিপ্রবিতে উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনে সস্ত্রীক সক্রিয় ছিলেন তিনি।সেসময় তার স্ত্রীসহ অন্য শিক্ষকরা ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন।