ওসির অবহেলায় প্রতারক চক্রের সঠিক সন্ধ্যান পাওয়া গেলো না
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের আমিনপাড়া এলকায় কিছু অল্প বয়সের ছেলেকে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গিয়ে মিথ্যাচার করে বিভিন্ন অজুহাতে সাহায্যের জন্য দুইটি বড় বড় বাজারের ব্যাগ নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়।
প্রতিনিয়ত তারা বিভিন্ন এলাকায় এমন কাজ করে থাকেন। বাবা, বোন, ভাই, আত্মীয় কিংবা যেকোনো একটি এলাকার নাম উল্লেখ করে আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে ৩দিনের মিলাত পড়াবো বলে সাহায্যের জন্য।এমন করে মানুষের কষ্টের টাকা আত্মসাৎ করে প্রকাশে চলছে প্রতারণা। এদের পিছনে রয়েছে এক প্রতারক চক্র, সেই চক্রের কর্মী দুই কিশোরের মধ্যে একজনকে জিজ্ঞাসা করলে তারা তাদের সরদার টেবু আলীর নাম বলেন এবং স্বীকার করেন যে তেঘরিয়া ইউনিয়নে থাকেন সেই টেবু আলী, তার নেতৃত্বেই এমন অপকর্ম করে থাকেন সুমনের মতো আরো অনেক ছেলে।
দঃ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মনিরুল ইসলামকে ফোন দিয়ে এদের থানায় সোর্পদ করার কথা বললে তিনি প্রতিবেদককে বলেন এসব বিষয় নিয়ে পুলিশের মাথা ঘামানোর সময় নেই । তিনি আরো বলেন এমন প্রতারক চক্রকে পুলিশ কি ঘরে ঘরে গিয়ে ধরবে আনবে নাকি? আপনি থানায় এসে অভিযোগ করে যান তখন ওসিকে বলা হলে এদেরকে প্রতিবেদকের পক্ষে একা থানায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব না তখন ওসি বলেন পারলে কিছু দান করেন নাহলে কইরেন না।যার ফলে প্রতিবেদকের পক্ষে সরেজমিনে গিয়ে টেবু সরদারের সঠিক সন্ধান পাওয়া সম্ভব হলো না।একারণে টেবু সরদারের মতো লোক মাথা উঁচু করে সমাজে বিভিন্ন অপরাধ করতে সাহস পায়।
এসব কারণে দক্ষিন কেরাণীগঞ্জ থানার ওসি মনিরের মতো পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য সাধারণ জনগণ পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। যদি কোন থানার ওসি সাহেবগীরি করে তাহলে তাকে সরানো হবে এবং প্রতিটি থানাকে দালাল মুক্ত করতে হবে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার নব-নির্মিত ভবনের শুভ উদ্বোধন শেষে শিবগঞ্জ স্টেডিয়াম মাঠে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ আইজিপি মোঃ শহীদুল হক (বিপিএম, পিপিএম) এ কথা বলেছিলেন কিন্তু আজ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মনির কি দেখালেন? প্রতিবেদকের ফোন পেয়ে ওসি যদি তখন কোনো পদক্ষেপ নিতেন তাহলে হয়তো তেঘরিয়ার টেবু সরদার ও তার সহযোগিদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হতো ।
দঃ কেরানীগঞ্জ থানার ওসির এমন আচরণ জনাব মোহাম্মদ মোবারক হোসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কেরাণিগঞ্জ সার্কেলকে অবগত করলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
জনাব মাছুম আহাম্মদ ভূঞা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিএসবি, ঢাকা ঘটনাটি শুনে ঢাকা জেলা গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার ইনচার্জকে প্রতারক চক্র টেবুর বিষয়টি তার আমলে নেওয়ার কথা বলেন এবং পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে অবগত করবেন বলে মন্তব্য করেন।