মুক্তিযোদ্ধা-ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী আর নেই।
মুক্তিযোদ্ধা-ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী আর নেই।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১টায় রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালের সিসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
তিনি তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
ল্যাব এইড হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক সাইফুর রহমান লেনিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ছাড়াও লিভার, কিডনি ও থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছিলেন।
গত ৮ নভেম্বর বাথরুমে পড়ে গিয়ে পায়ে গুরুতর আঘাত পান তিনি। সেসময় তাকে হাসপাতালে নিয়ে কয়েক দফা চিকিৎসা দেয়া হয়।
প্রিয়ভাষিণী বাংলাদেশের ভাস্কর্য চর্চায় ব্যতিক্রমী একজন শিল্পী ছিলেন। দামি জিনিসের পরিবর্তে চারপাশে পাওয়া ডাল, পাতা, কাঠের টুকরা, শেকড়, গাছের গুড়িকে তুলে এনে শিল্পে রূপ দিতেন। শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১০ সালে তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক 'স্বাধীনতা পুরস্কার' প্রদান করা হয়।
একাত্তরের নির্মম ইতিহাসের প্রত্যক্ষ সাক্ষী ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হন তিনি। ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার।
১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনা শহরে নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। তার ব্যক্তি ও শিল্পী জীবনে নানা বাড়ির প্রভাব অপরিসীম। নানা বাড়িতেই কেটেছে তার শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো।
স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে মুক্তিযোদ্ধা খেতাব দেয়। এর আগে ২০১০ সালে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পদক পান।
২০১৪ সালে একুশের বইমেলায় তার আত্মজীবনী ‘নিন্দিত নন্দন’ প্রকাশিত হয়।