পত্নীতলায় গাছে গাছে আমের মুকুল ,বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
মাসুদ রানা, পত্নীতলা (নওগাঁ)প্রতিনিধিঃ নওগাঁ জেলার খাদ্য ভান্ডার পরিচিত পতœীতলা উপজেলায় এবারে কৃষকের বাগানে বাগানে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে চারিদিক মুখরিত হয়ে উঠেছে , নানা ফুলের সঙ্গে আমের মুকুলও সৌরভ ছড়াচ্ছে প্রকৃতির পালাবদলে শীতের শেষে ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে কোকিলের সুমিষ্ট কুহুতালে উত্তাল বাসন্তী হাওয়া দোলা দিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে নওগাঁর পতœীতলার ১১ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা এলাকায় আম গাছগুলোতে মুকুল ও আমের গুটিও দেখা দিতে শুরু করেছে। আমের মুকুলের মিষ্টি সুবাসে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। সেই সুমিষ্ট ঘ্রাণ আন্দোলিত করে তুলছে মানুষের মন। জানা গেছে, দুই সপ্তাহ আগে থেকেই আম গাছে মুকুল দেখা দিতে শুরু করেছে। এখন সময়ের ব্যবধানে তা আরো বাড়ছে। তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে প্রায় সব গাছে মুকুল আসতে শুরু করবে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও আমচাষিরা এবার আমের বাম্পার ফলন আশা করছেন।
সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ও সময়মতো পরিচর্যা হলে চলতি মৌসুমে আমের ভালো ফলন হবে। আর এ কারণেই আশায় বুক বেধে আমচাষিরা শুরু করেছেন পরিচর্যা। অবশ্য গাছে মুকুল আসার আগে থেকেই বাগান পরিচর্যা করছেন তারা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এই উপজেলা ধানের রাজ্য বলে খ্যাত। কৃষকদের বাণিজ্যিকভাবে আম চাষে তেমন আগ্রহ না থাকলেও গত ৩-৪ বছরে পতœীতলা উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই আম বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। বারি আম-৪, বারি আম-৫, আমরুপালি, ফজলি, খিড়সা, ল্যাংড়া, রাজভোগ ও গোপালভোগসহ বিভিন্ন উন্নত জাতের আমের বাগান করেছে কৃষকরা। ছোট পরিত্যাক্ত জমি এবং বাড়ীর আশে-পাশের জায়গাগুলোতে অনেক গাছ রয়েছে।অভিজ্ঞমহলের মতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার গাছে খুব একটা কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন নেই। তবে ছত্রাকজনিত রোগে আমের মুকুল-ফুল-গুটি আক্রান্ত হতে পারে।
পতœীতলা উপজেলার নাদৌড় গ্রামের আম বাগান মালিক অনূকুল চন্দ্র মনডল জানান, আমার ৩.১/২ বিঘা জমিতে ১৭৫ টি ল্যাংড়া ও ফজলি জাতের আম গাছ আছে, অপর বাগান মালিক অমূল্য বৈরাগী জানান তিনি ৫ বিঘা জমিতে ১৫০ টি ল্যাংড়া ও ফজলি জাতের আম গাছ আছে ,তারা দু জন বলেন দেখা যাচ্ছে অনেক গাছে মুকুল আমের ছোট ছোট গুটির মত আম ফুটানো ভাব দেখা দিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, কয়েক দিনের মধ্যে গাছগুলোতে মুকুল ও আমের গুটি গুলো বেশি বেশি দেখা দিতে পারে বিগত বছরের চেয়ে ভাল ফলন হবে আশা করছি ।একই গ্রামের আম চাষী বিমল চন্দ্র ২.১/২ বিঘা ও মাছুম ১ বিঘা জমিতে আম চাষ করেছেন তারাও জানান এবার ভাল ফলন হতে পারে।
নজিপুর পেসক্লাবের আহবায়ক ,পতœীতলা জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষন কমিটির সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক মাসুদ রানা জানান , আমি নজিপুর পৌরসভার বাজার এলাকয় ০.৬ শতাংশ জমিতে ৭০ টি আমরূপালী জাতের আম বাগান আছে ানেক মুকুল আসছে ,আশা করছি আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে আমের বাম্পার ফলন হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রকাশ চন্দ্র সরকার জানান, ্এবার উপজেলায় ১৫০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে এতে ২৪০০০ মেট্রিকটন উৎপাদন ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । আম চাষে কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। আম গাছে মুকুল আসার আগে এবং আমের গুটি হবার পর নিয়মিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া জৈব বালাইনাশক ও ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে আমসহ অন্যান্য ফসল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।