গোচারণ খেলার মাঠের মাটি কেটে নিয়ে নির্মাণাধীন রাস্তা ভরাট চলছে
লিটন মাহমুদ মুন্সীগন্জ,
সিরাজদিখানে উপজেলার কোলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড পশ্চিম কোলা গ্রামে ড্রেজার ও বেকু দিয়ে মাটি কাটাসহ এলাকার গোচারণ খেলার মাঠের মাটি কেটে নিয়ে নির্মাণাধীন রাস্তা ভরাট চলছে।
কোলা অগ্রদূত সমিতি হইতে সেলিম লস্করের বাড়ি পর্যন্ত ৪৫০ ফিট রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প অফিসের মাধ্যমে কাগজে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নির্মাণ ব্যয়ে ৪৫০ ফিট রাস্তা ৪০ দিনের কর্মসূচি বরাদ্দ দেয়া হয়। সেখান থেকে ৫০ হাজার টাকা প্রকল্প কর্মকর্তা কাজী ইমতিয়াজ আশফাক উৎকোচ রেখে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। এছাড়া স্থানীয় সালাম সিকদার, সোহেল ও ফেরদৌছসহ কয়েকজনের কাছ হতে আরো ৫০/৬০ হাজার টাকা রাস্তা নির্মাণে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। এক মাসে ২৫০ ফিট রাস্তার কাজ হয়েছে। এ প্রকল্প কোলা ইউপি চেয়ারম্যান মীর লেয়াকত আলীকে সভাপতি ও কোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নোবেল হাওলাদারকে সদস্য সচিবকে করে প্রকল্প দেওয়া হয়। হতদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য সরকার ৪০ দিনের কর্মসূচি নামে এ প্রকল্প দিয়ে থাকেন। উপজেলায় প্রকল্পের কোন নিয়ম না মেনে প্রতিটা প্রকল্পে মাটি কাটা হয় বেকু দিয়ে। আরো অভিযোগ রয়েছে কোন প্রকল্পের কাজই সঠিক ভাবে হয়নি। এর মধ্যে মালখানগর ইউনিয়নের নাইশিং প্রকল্প, কোলা ইউপি ৪ নং ওয়ার্ড প্রকল্প, রসুনিয়া ইউপি চোরমদ্দন প্রকল্প, শেখর নগর ইউপি ২ টি প্রকল্প, বয়রাগাদি ইউপি’র ২ টি প্রকল্পসহ উপজেলায় আরো কয়েকটি প্রকল্পের একই অবস্থা হয়েছে বলে জানা যায়।
প্রকল্প সচিব ও কোলা ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নোবেল হাওলাদার জানান, আমরা খেলার মাঠ বা ক্লাবে জায়গা কাটি নাই। আমরা যেখান থেকে মাটি কাটছি তা মাদ্রাসার ওয়াকফাকৃত জায়গা। চেয়াম্যান সাহেব প্রকল্পের সব কিছু জানেন।
কোলা ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাজী ইমতিয়াজ আশফাক বলেন, চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে, মাঠ না কাটার জন্য বলেছি, চেয়ারম্যান মীর লিয়াকত আলী আমাকে জানিয়েছে মাঠের পাশে রাস্তার জায়গা থেকে মাটি কাটা হয়েছে। আমি ছুটিতে আছি।