জাতীয় জাদুঘরে ‘পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের জীবন ও সাহিত্যকর্ম’ শীর্ষক সেমিনার
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে বুধবার (১৪ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টায় কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের জীবন ও সাহিত্যকর্ম’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকে কবি পুত্র জনাব খুরশীদ আনোয়ার জসীমউদদীন এবং বিশিষ্ট কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী। সেমিনারে সভাপতিত্ব করে ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।
সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপনে অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, পল্লীকবি জসীম উদ্দীন তিনি ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার বাড়ি ছিল একই জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। বাবার নাম আনসার উদ্দিন মোল্লা। তিনি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। মা আমিনা খাতুন ওরফে রাঙাছুট। ১৯২৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক "কবর" কবিতা নির্বাচিত হওয়ার পর ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজে জসীম উদ্দীন (সনদ হাতে) পান। ১৯৩১ থেকে ১৯৩৭ পর্যন্ত, দীনেশচন্দ্র সেনের সাথে লোক সাহিত্য সংগ্রাহক হিসেবে জসীম উদ্দীন কাজ করেন। তিনি ১০,০০০ এরও বেশি লোক সংগীত সংগ্রহ করেছেন, যার কিছু অংশ তার সংগীত সংকলন জারি গান এবং মুর্শিদা গান এ স্থান পেয়েছে। তিনি বাংলা লোক সাহিত্যের বিশদ ব্যাখ্যা এবং দর্শন খন্ড আকারেও লিখে গেছেন। ১৯৩৩ সনে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. দীনেশচন্দ্র সেনের অধীনে রামতনু লাহিড়ী গবেষণা সহকারী পদে যোগ দেন। এরপর ১৯৩৮ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৪৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে এবং তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগে যোগ দেন। ১৯৬২ সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করে গেছেন। ১৯৬৯ সনে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মান সূচক ডি লিট উপাধিতে ভূষিত করেন।