পল্লী কবির উপন্যাসের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এমপি মকবুল প্রতিভা বিকাশের সুযোগ না দিলে প্রতিভাবান তৈরী হবে না
এম এ লিংকন,মেহেরপুর প্রতিনিধি :
মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন বলেছেন, দারিদ্রতা মোকাবেলা করে যাঁর পথচলা। লেখার জন্য কাগজ-কলম কেনা যাঁর কাছে বাহুল্য। আর্থিক স্বচ্ছলতার কথা চিন্তা করেননি। আজীবন তিনি লিখে গেছেন পল্লী জীবনের সুখ-দুঃখ। কিন্তু আমরা তাঁর প্রতিভার মূল্যায়ন করতে পারিনি। প্রতিভা বিকাশের সুযোগ না দিলে প্রতিভাবান মানুষ তৈরী হবে না। সমাজের জন্য এমন নিবেদিত প্রাণ মানুষগুলোকে যথাযথ মূল্যায়নে সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি। গতকাল রোববার দুপুরে গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজ হলরুমে পল্লী কবি ছহির উদ্দীনের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘তুমি যে আমার গলার মালা’ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি ওই আহবান জানান। গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মকবুল হোসেন এমপি আরো বলেন, অজোপাড়াগায়ে জন্ম নিয়েও তিনি কবিতা সাধনা করেছেন। শিক্ষাদিক্ষায় তেমন এগিয়ে যেতে পারেননি। তবে লেখনির মধ্য দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন প্রতিভা থাকলে আটকানো যায় না। পল্লী কবির জীবনের শেষ সময়ে এসে হলেও মহিলা কলেজ তার সম্মানে আজকে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গাংনী থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী হাজী আলফাজ উদ্দীন, বিশিষ্ট সংগঠক সিরাজুল ইসলাম, নারীনেত্রী নুরজাহান বেগম, সুজন সভাপতি আব্দুর রশিদ, শহীদ স্মৃতি পাঠাগারের সহ সভাপতি ইয়াছিন রেজা, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশ, সন্ধানী সংস্থা নির্বাাহী পরিচালক আবু জাফর ও গাংনী মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক পারভেজ সাজ্জাদ রাজা, গাংনী প্রেস ক্লাব সভাপতি রমজান আলী ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ-উদ্দ-দৌলা রেজা। প্রতিক্রিয়ায় বক্তারা বলেন, যার চাল চুলা নেই, গায়ে কাপড় নেই এমন মানুষ কবিতা উপন্যাস লেখেন তা সত্যিই বিষ্ময়কর। তার কবিতা-গল্পে উঠে আসে গ্রাম বাংলার মানুষের হাসি কান্না সুখ দু:খ উঠে এসেছে। এজন্য মানুষ তাকে পল্লী কবি বলে আখ্যায়িত করেছেন। অনুষ্ঠানের আয়োজকদের দাবির প্রেক্ষিতে কবিকে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন ৫০ হাজার, হাজী আলফাজ উদ্দীন ৫ হাজার ও আজিজুল হক রানু ২ হাজার টাকা প্রদান করেন।