যুদ্ধ-সহিংসতা-নিপীড়নের মুখে ৬ কোটি ৮৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত
বিশ্ব শরণার্থী দিবস আজ—বুধবার। যুদ্ধ-সহিংসতা এবং নিপীড়নের মুখে ৬ কোটি ৮৫ লাখ মানুষ নিজেদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
গতকাল জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচিসআরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা থাইল্যান্ডের জনসংখ্যার সমান। তাদের মধ্যে অর্ধেকের বয়স ১৮ বছরের নিচে। আর বেশিরভাগই সিরিয়া, আফগানিস্তান, দক্ষিণ সুদান, মিয়ানমার এবং সোমালিয়ার শরণার্থী।
গতবছর ২০১৭ সালের শেষ নাগাদ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এর আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩০ লাখ বেশি। গত এক দশক আগে বিশ্বজুড়ে বস্তুহারার সংখ্যা ছিল প্রায় চার কোটি ২৭ লাখ।
দুই যুগের বেশি সময় পার হলেও সমাধান হয়নি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সমস্যা। কক্সবাজারে অনিয়ন্ত্রিতভাবে রোহিঙ্গাদের বসবাসের ফলে নানা সমস্যায় ভুগছেন স্থানীয়রা।
তবে রোহিঙ্গারা চান, সম্মানজনকভাবে নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন।
আর রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি স্থানীয়দের।
বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ১৯৭৮ সালের শুরুর দিকে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে শরণার্থী প্রবেশ শুরু হয়। নতুন-পুরাতন মিলিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। যার ফলে আর্থসামাজিক, অর্থনৈতিক, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ নানাভাবে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন স্থানীয়রা। তাই তারা চান, দ্রুত রোহিঙ্গাদের যেন নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এদিকে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা বলছেন, সম্মানজনক প্রত্যাবাসন হলে নিজ দেশে ফিরে যেতে চান তারা।
এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ উল্লেখ করে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম পরিষদ।