গাজীপুর সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
গাজীপুর সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার আশা করছেন দলের নেতারা। তবে আওয়ামী লীগ বলছে, হারার আশংকা থেকেই নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ করা বিএনপির নিয়মে পরিণত হয়েছে। গাজীপুরে দেশি বিদেশি সবার দৃষ্টি থাকায় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ রাজনীতি বিশ্লেষকদের।নির্বাচনের মাত্র ৯দিন আগে স্থগিত হওয়া গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে আবারো সরব প্রার্থী, ভোটার ও এলাকার মানুষ। হাইকোর্টের নির্দেশে ৬ মে স্থগিত হওয়ার পর, ১০ মে সুপ্রিম কোর্ট তা প্রত্যাহার করে ২৬ জুন নির্বাচনের দিন ধার্য করেন। নির্বাচনের দিন যতো ঘনিয়ে আসছে গাজীপুর নিয়ে মানুষের আগ্রহ ততোই বাড়ছে। ভোটের মাঠ যেমন সরগরম তেমনি সরগরম দেশের রাজনীতিও।
আওয়ামী লীগ সিটি নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলেও নেতাকর্মীদের ধরপাকড়, ভয়ভীতি দেখানো, প্রচারণায় সমান সুযোগ না পাওয়ার অভিযোগ করছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'আমরা জানি সরকার ভোট কারচুপি করবে। গাজীপুর নির্বাচনে আমরা সব চেষ্টা করবো আমাদের নেতাকর্মী দিয়ে। ভোট যদি নূন্যতম ঠিকভাবে হয় আমরা আড়াই লাখ ভোটে জিতবো গাজীপুরে।'
তবে বিএনপির সব অভিযোগকে রুটিন মাফিক অভিযোগ আখ্যা দিয়ে তা আমলে নিতে রাজি নয় আওয়ামী লীগ। হার জিত যাই হোক নির্বাচনী ফলাফল মেনে নিতে প্রস্তুত দলটি।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, 'গাজীপু নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হবে। আর ফলাফল যা হোক আমরা মেনে নেব। বিএনপিকে নির্বাচন একটা হলেই তাতে জিততে হবে। তা না হলে কারচুপি হয়ে যায়। এই অভিযোগ তাদের থাকে।'গাজীপুরসহ আগামী সিটি নির্বাচনগুলো নিয়ে নতুন করে কোন প্রশ্ন তৈরি না হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে স্বচ্ছ ও কঠোর ভূমিকা পালনের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
রাজনীতি বিশ্লেষক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, 'গাজীপুর নির্বাচনের উপর নির্ভর করবে জাতীয় নির্বাচনের গতি প্রকৃতি। বিদেশিরা এই নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।'
৩শ ৩০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের গাজীপুর সিটি ২০ লাখের বেশি মানুষের বসবাস। আর ভোটার ১১ লাখ ৩৭ হাজার ১১২ জন।